অমি রহমান পিয়াল: ব্রিটিশরা যখন উপমহাদেশ ছাড়লো তখন সে মানচিত্র ভাগের পাশাপাশি নিজেরেও ভাগ কইরা রাইখা গেলো সংশ্লিষ্ট এলাকার জনগণের মাঝে। অন্যভাবে বললে বুদ্ধি এবং স্বভাব অনুযায়ী এসব এলাকার মানুষ তাদের ধারণ করলো। আমার মরহুম বাপজানের ভাষায় বললে পাকিস্তানিরা পাইলো তাদের লুইচ্চা এবং বরকন্দাজ স্বভাব, সামরিক শক্তিরেই তাই আসল ভাবে তারা। কিল অর গেট কিলড। ইন্ডিয়ানরা পাইলো তাদের বেনিয়া স্বভাব। বাণিজ্যই অস্তিত্ব রক্ষার মূল সূত্র তাগো কাছে, এভরিথিং ইজ আ ডিল অর পার্ট অব আ ডিল। বাঙালির কপালে জুটলো তাগো পলিটিক্স। ডিভাইড অ্যান্ড রুলই টিকে থাকার মূল সূত্র জানে তারা। গুটিবাজি করো, এর বিরুদ্ধে তারে লাগায়া দাও, দুইপক্ষেই ভান করো তুমি তাগো লুক, তারা লড়ুক তুমি ভালো থাকো।
বাঙালি এইভাবেই টিকা আছে। পাকিগো ইউজ কইরা ভারত থিকা আলাদা হইছে তারপর ভারতরে ইউজ কইরা পাকিস্তান থিকা আলাদা হইছে। দুইডাই পরে বুজছে হালার ব্রিটিশ বুদ্ধি কারে কয়। খালি তারাই না, ব্রিটিশরাও বুঝছে। গান্ধী কিংবা জিন্নাহ না, কংগ্রেস কিংবা মুসলিম লিগ না, ওগোরে খেদাইছে বাঙালি। সূর্যসেন ক্ষুদিরাম বাঘা যতীন এবং তাগো উত্তরসূরীরা। তার আগে মোগলরাও বুঝছে। বাংলা তাগো সময়ও ভিন্ন সুবেদারি। বারো জাতের মানুষ না খালি, বারো ভুইয়ার দেশও। বাঙালির রক্ত ভিন্ন জাতের রক্ত। এই রক্ত কোনোদিন পরাভব মানে না। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :