শাহ্ আলী ফরহাদ: তারা ভালো করেই জানে তাদের এই দাবির সাথে ধর্মের কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ তারা একটা ধর্মীয় রেফারেন্স দিলে আমরাও দুইটা দিতে পারবো। তারা ভালো করেই জানে পাকিস্তান, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, মধ্য এশিয়ার দেশসমূহ, ইরান, ইরাক, মিশর সব দেশেই ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের ভাস্কর্য ছিলো, আছে এবং থাকবে। তারা প্রায় দুই দশক ধরে জিয়ার ভাস্কর্য নিয়েও কোনো কথা তুলেনি।
তাহলে হঠাৎ এখন কেন ধর্মকে পণ্য বাঁচিয়ে বাটপারি করা সব গোষ্ঠী এক হলো? চুলকানি। এমন চুলকানি যে চুলকাতে চুলকাতে ঘাঁ হয়ে যাচ্ছে। কীসের চুলকানি? মুজিববর্ষে জাতির পিতাকে নিয়ে মাতামাতি, আসছে সামনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা জয়ন্তী। বলেন ঠিক কিনা? বঙ্গবন্ধুকন্যা, বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির বাতিঘর, রাষ্ট্রক্ষমতায় আজ এক দশকের বেশি। যারা বাংলাদেশ রাষ্ট্রই মানে না তাদের কেমন লাগতে পারে চিন্তা করে দেখেছেন? এর জন্যই বাচ্চা ধর্ষক, উগ্রবাদী, যুদ্ধাপরাধীদের আন্ডাবাচ্চা, বাংলাদেশ বিরোধী সব শক্তি এক হয়ে একই সুরে কথা বলছে। ...হেফাজতের লাইভ করছিলো কে দেখেছেন? বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত বদলে ফেলতে চাওয়া, স্বঘোষিত গর্বিত রাজাকার সন্তান, ইলিয়াস। সাথে তালে তাল মিলানোর জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা বিরোধী নূরু গংরা তো আছেই। পেছন থেকে রসদ যোগাচ্ছে আমাদের চিরশত্রু জামায়াত-শিবির। একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করে লন্ডন থেকে তারেক চোরারও হাত যে আছে তাতেও আমার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই।
তোমাদের মতন ভন্ড আলেম-ওলামার দেশ? প্রথমত, এটা মুক্তিযুদ্ধাদের দেশ, বঙ্গবন্ধুর দেশ, এই দেশের সংবিধান যারা মানে তাদের দেশ। এই দেশকে যারা ভালোবাসে তাদের দেশ। আর দ্বিতীয়ত, তোমাদের মতন ভন্ডদের আজকে থেকে আলেম-ওলামা হিসেবে স্বীকৃতিই দেবো না। রাজনীতি করতে হলে আসো রাজীনীতি করি। ধর্মের নাম খারাপ করে পর্দার পেছনের রাজনীতি করলে সেই রাজনীতির সমুচিত উত্তরও দিতে জানি আমরা। আর শেষ কথা, তোমাদের অবদান কী এই দেশের জন্য? স্বাধীনতার বিরোধিতা করা, ফ্রি খাওয়া, ট্যাক্স না দেয়া, বাচ্চা ধর্ষণ করা, অন্য মতের মানুষের বিরুদ্ধে সহিংসতা উস্কে দেয়া, কল্লা কাটার হুমকি দেয়া, নারীবিদ্বেষী আর সংস্কৃতিবিরোধী ওয়াজ করা ছাড়া? যেই ধর্মের নাম বেঁচে পেট চালায় সেই ধর্মের মূল স্পিরিটটাই তো তোরা বুঝতে পারলি না। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমরা বিশ^াস করি ইনসাফের ইসলামে। আর তোমরা বিশ^াস করো মোল্লাতন্ত্রের ইসলামে। ফেসবুক থেকে