মঈন উদ্দীন: [২] শনিবার (২৮ নভেম্রর) সকালে চন্দ্রিমা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এই হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৩] শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে রাজশাহী নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি এলাকায় অবস্থিত ওই মেডিকেল কলেজে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মনিরুজ্জামান স্বাধীনকে প্রধান করে মোট ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শুক্রবার রাতে রাজশাহী মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত ছাত্র আশিকুর রহমান।
[৪] শিক্ষার্থী নিশাত তাসনিম জানান, বিকেলে মেডিকেল কলেজের হোস্টেলে শিক্ষার্থীরা নিজেদের জিনিসপত্র নিতে যান। এসময় প্রথমে তাদের হোস্টেলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। কিছুক্ষণ পরে জানানো হয়, হোস্টেলে ঢুকতে দেওয়া হবে। এর পর মেডিকেলের কলেজ গেট বন্ধ করে এলোপাথারি মারধর শুরু করে এমডির ভাই মিঠু ও টিটোসহ কয়েকজন। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করা হয়।
[৫] চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনীর জানান, ৯ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আরও ১৩ জনকে আসামি করে এ মামলা হয়েছে। রাতেই একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। কলেজ ক্যাম্পাসে পুলিশ মোতায়েনসহ বাকি আসামি গ্রেপ্তারের পুলিশ অভিযান চলছে।
[৬] এঘটনার পর শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে শনিবার কলেজ ক্যাম্পাসে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত আদেশের বলে দ্রুত সময়ে অন্য প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে তাদের মাইগ্রেশান সম্পন্ন করার দাবি জানিয়েছেন। এ সমাবেশে শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
[৭] এদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান, শুরু থেকেই ভাড়া শিক্ষক ও সরঞ্জাম দেখিয়ে চলছিল রাজশাহীর প্রাইভেট শাহমখদুম মেডিকেল কলেজ। ২০১৩ সালে শিক্ষা কার্যক্রম চালুর পর থেকে নানা অঘটনের মধ্যদিয়ে বছর বছর শিক্ষার্থী ভর্তি করে আসছিল কলেজটি। প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ পরিচালনার কোনও শর্ত পূরণ না হওয়ায় গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশপত্রে কলেজটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
[৮] এদিন পর্যন্ত বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে মোট ২২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের দেশের যে কোন প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে দ্রুত মাইগ্রেশানের ব্যবস্থা করতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়কে নির্দেশ দেন। সেই থেকে শিক্ষার্থীরা দ্রুত মাইগ্রেশানের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :