মুনশি জাকির হোসেন : উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জে। চলমান বাংলাদেশ হয়তো এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম, একদিন হয়তো উন্নয়নও হবে। কিন্তু বাংলাদেশের এই চ্যালেঞ্জের থেকেও বড় চ্যালেঞ্জ হলো ধর্মান্ধ, কাঠমোল্লা, পলিটিক্যাল ইসলাম, জামায়াত/শিবির গোত্র। পরের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা একেবারে অসম্ভব সেটিও না। তবে এই অপশক্তিকে আওয়ামী লীগের একার পক্ষে মোকাবিলা করা সম্ভব না, এটি শতভাগ সত্য। আওয়ামী লীগ যদি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে না পারে, আওয়ামী লীগ যদি নিজ দলের মধ্যে শতভাগ বিশুদ্ধ রাজনৈতিক আদর্শিক চর্চা না করে তাহলে আওয়ামী লীগ এখানে পরাজিত হবে। আর, আওয়ামী লীগ পরাজিত হলে আহমেদ ছফার সেই উক্তিই সত্য হবে, ‘আওয়ামী লীগ যখন হেরে যায় তখন পুরো বাংলাদেশই হেরে যায়!’
আওয়ামী লীগের বৃহত্তর ঐক্য যতোটা না আওয়ামী লীগের জন্য প্রয়োজন তার থেকেও বেশি প্রয়োজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য। আওয়ামী লীগ সরকারে আসলেই বিনা কারণে শত্রু বাড়াতে থাকে। নির্জীব বাম দলগুলোর উপর পুলিশি লাঠিচার্য, আওয়ামী লীগের সমমনা বুদ্ধিবৃত্তিক অংশকে নানাভাবে হেনস্থা করা, অবমূল্যায়ন করা এক নিত্য বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। সাংবাদিক কাজল, প্রবির শিকদারের উপর এত নির্যাতনের পরণতি কি আওয়ামী লীগের জন্য ভালো হবে?
আওয়ামী লীগ তো অনেক কিছুই হজম করে, হজম করতেছে। হেফাজতকে হজম করে, এমনকি বিএনপি-জামায়াতের লোকদেরও দলে নেয়, বিএনপি/জামাতের লোকজন তো সরকারের সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে, বড় বড়া কাজের ভাগ পায়, সরকারি চাকরিতেও এরা পদোন্নতি পায়! যতো সমস্যা আওয়ামী লীগের সমমনা রাজনৈতিক আদর্শিক প্লাটফর্মের সাথে।