শিরোনাম
◈ হায়দার আকবর খান রনো মারা গেছেন ◈ ডোনাল্ড লু’র ছয়দিনের সফর শুরু, ভারত ও শ্রীলঙ্কা হয়ে বাংলাদেশ আসছেন ১৪ মে ◈ লোহাগড়ায় দুর্বৃত্তের গুলিতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের মৃত্যু ◈ সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়ার প্রস্তাব পাস  ◈ জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টানা চার জয় বাংলাদেশের ◈ বন্দি ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরায়েলি বাহিনীর অমানবিক নির্যাতনের তথ্য-ছবি ফাঁস ◈ গাজার রাফাহজুড়ে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও বোমাবর্ষণ ◈ কোনো ভর্তুকি ছাড়াই নিজস্ব আয় থেকে উড়োজাহাজের মূল্য পরিশোধ করছে বিমান ◈ আওয়ামী লীগ মাঠে না থাকলে বিএনপি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাবে: ওবায়দুল কাদের ◈ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা শেষ, এখন চলবে ফাইজার: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৮ দুপুর
আপডেট : ২৮ নভেম্বর, ২০২০, ১২:০৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ঝিনাইদহের লাইসেন্স এবং নবায়নবিহীন ক্লিনিক ও ল্যাবের কার্যক্রম তদন্তের নির্দেশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: [২] জেলার ৬ উপজেলায় লাইসেন্স ও নবায়নবিহীন মানহীন ক্লিনিক এবং ডায়াগনোস্টিক সেন্টারগুলোর চরম অব্যাস্থপনা তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন ঝিনাইদহের একটি আদালত।

[৩] অতিরিক্ত চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক বৈজয়ন্ত বিশ্বাস স্বপ্রণোদিত হয়ে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৯০(১) ধারার বিধান মতে আমলে নিয়ে ২৬ নভেম্বর এই আদেশ দেন। আদেশ প্রাপ্তির ১৫ দিনের মধ্যে ঝিনাইদহ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে তদন্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। আদেশে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকালে যাবতীয় তথ্য ও দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমান সরবরাহ করতে ঝিনাইদহ সিভিল সার্জনকেও নির্দেশ দেন।

[৪] তদন্ত প্রাপ্তির পরবর্তী তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২০২০ সালের ২৪ ডিসেম্বর। দৈনিক বাংলাদেশ জার্নাল, মানবজমিন, ডিবিসি নিউজ ও দৈনিক নবচিত্র পত্রিকায় গত ২১ আগষ্ট “ঝিনাইদহের ১৬৯ ক্লিনিক ও ল্যাব লাইসন্সে ছাড়াই চলছে” শিরোনামে তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশিত হলে আদালতের দৃষ্টিগোচর হলে তা আমলে নেন।

[৫] আদালত মনে করেন উল্লেখিত সংবাদ সত্য হলে তাতে যেমন বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইনের ২২ ও ২৮ ধারায় বর্ণিত অপরাধের অস্তিত্ব রয়েছে, তেমনি ঝিনাইদহবাসির আইনগত ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের সামিল মর্মে প্রতীয়মান হয়। ফলে এ বিষয়ে বিস্তারিত তদন্তের আবশ্যকতা রয়েছে। আদালত তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ৫টি নির্দেশনা দিয়েছেন। নির্দেশনাগুলো হচ্ছে তদন্তকর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট পত্রিকা, অনলাইন ও টিভির সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করে মানচিত্র ও সুচিপত্র প্রস্তুত করবেন। সেখানে সাক্ষিদের বক্তব্য থাকবে। ঘটনাস্থলের স্থির চিত্র ধারণ পুর্বক প্রিন্ট করে ডকেটের সাথে যুক্ত করবেন। আলামত প্রাপ্ত হলে তা জব্দ করবেন। কোন ক্লিনিকের অবহেলা বা ভুল চিকিৎসার কারণে কোন রোগী মারা গেলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করবেন। যতদুর সম্ভব ভুক্তভোগী রোগী, তাদের আত্মীয় স্বজন এবং ঘটনা সম্পর্ক জ্ঞাত ব্যক্তিদের সাক্ষি হিসেবে নির্বাচন করবেন।

[৬] সংবাদে উল্লেখ করা হয় ঝিনাইদহ জেলার বেশির ভাগ ক্লিনিক লাইসেন্স নবায়ন ছাড়াই মাসের পর মাস ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা পর্যায়ের ক্লিনিকগুলোতে অহরহ অপচিকিৎসা চলছে। ডাক্তারের অবহেলায় প্রসুতির মৃত্যু ঘটছে। ক্লিনিকগুলোতে চিকিৎসার উন্নত পরিবেশ নেই। নেই সর্বক্ষণ চিকিৎসক বা প্রশিক্ষিত র্নাস। ১০ বেডের পরিবর্তে শয্যা বাড়িয়ে ৫০/৬০ জন করে রোগী ভর্তি করা হয়। নীতিমালা ভঙ্গ করার পরও এসব ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার নতুন লাইসেন্স পাচ্ছে। পুরানো লাইসেন্স নবায়ন হচ্ছে।

[৭] সিভিল সার্জন অফিস থেকে তথ্য নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহের ৬ উপজেলায় মোট ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টরের সংখ্যা ১৭০টি। এর মধ্যে ক্লিনিক রয়েছে ৮১টি।

[৮] সূত্রমতে কোটচাঁদপুরের একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন আছে। বাকী ১৬৯টি ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন নেই। এছাড়া ৮৯টি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের কোনটার লাইসেন্স ২০১৮ সাল থেকে নবায়ন করা হয়নি।

[৯] সদর উপজেলার ডাকবাংলা, বৈডাঙ্গা, সাধুহাটী, বারোবাজার, কালীগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, শৈলকুপা, হরিণাকুন্ডুর হাসপাতাল মোড়, মহেশপুরের নেপারমোড় ও খালিশপুরের ক্লিনিকগুলোতে সর্বক্ষণ ডাক্তার থাকে না। ক্লিনিক মালিক, ছেলে. স্ত্রী ও মেয়েরাই কোন কোন ক্লিনিকের স্টাফ সেজে কারবার চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অপারেশন থিয়েটার ও রোগীর শয্যা রুমে নোংরা পরিবেশ বিরাজ করে। নেই দক্ষ নার্স। ফলে রোগীরা বিপদে পড়লে তেমন কোন সহায়তা পান না। ফলে প্রায় এ সব ক্লিনিকে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়