সুজিৎ নন্দী : [২] অযত্ন, অবহেলা আর দূষণের কবলে পড়া ধানমন্ডি লেক ক্রমেই আবর্জনা কমে আসছে। ইতোপূর্বে প্রায় ২ শতাধিক বাড়ির স্যুয়ারেজ লাইন লেকের সঙ্গে যুক্ত ছিলো। ধাপে ধাপে এলো বন্ধ হয়ে গেছে। এডিস মশার উৎপত্তিস্থালে পরিণত হওয়া লেক সকাল ও বিকালে ওষুধ ছিটানোর কারণে মশার উপদ্রব কমেছে।
[৩] এদিকে জিগাতলা থেকে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়ক পর্যন্ত ময়লা-আর্বজনা অতীতে পরিষ্কার করা না হলেও এখন প্রতিদিন পরিষ্কার করা হচ্ছে।
[৪] ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগ জানায়, এরই মধ্যে লেকের ভেতরে ও আশাপাশে যে হোটেল ও রেস্তোরা তৈরি হয়েছে তা ধাপে ধাপে তুলে দেয়া হবে। ডিএসসিসির সঙ্গে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর চুক্তি থাকার কারণে আপাতত তোলা যাচ্ছে না। তবে এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হলে হোটেল ও রেস্তোরা তুলে দেয়া হবে।
[৫] এলাকাবাসী, ডিএসসিসি, কলাবাগান ও ধানমন্ডি ক্লাবের কর্মকর্তারা বর্তমানে লেক উন্নয়নে কাজ করছে।
[৬] ডিএসসিসি পরিচ্ছন্ন বিভাগ জানায়, ধানমন্ডি লেক বহু আগে মরহুম মেয়র মোহাম্মদ হানিফ সংস্কার করেছেন। লেককে নবরূপে সাজানো হবে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ধরে রেখে কীভাবে সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায় সেভাবেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করা হবে।
[৭] ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, যে সময় ঢাকা সিকিউরিটি সার্ভিসকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো তখন এত জনসমাগম ছিলো না। ক্রমেই জনসমাগম বাড়ছে। বর্তমান মেয়র আসার পরে, এখানে ব্যবস্থাপনা কমিটি এবং উপদেষ্টা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ধানমন্ডির পরিবেশ কিভাবে উন্নয়ন করা যায় তা নিয়ে এ মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে।
আপনার মতামত লিখুন :