তরিকুল ইসলাম: [২] শরিফুজ্জামান পিন্টু, ১৫ বছর পত্রিকাটির বার্তা সম্পাদক, প্রধান প্রতিবেদক, ও সহকারি সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।করোনাকালে কর্মী ছাঁটাই ইস্যুতে প্রথম আলো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিরোধের জের ধরে তিনি পদত্যাগ করেন বলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে।
[৩] এর আগে প্রথম আলো থেকে পদত্যাগ করেন অনলাইন বিভাগের প্রধান সেলিম খান। শরিফুজ্জামান যে পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক পদে যোগ দিয়েছেন সেটির উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী চৌধুরী নাফিজ সরাফাত।
[৪] করোনাকালে প্রথম আলো থেকে অন্তত ১২০ জন সাংবাদিক ও কর্মী ছাঁটাই করা হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় ওঠে। ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি করোনাকালে সংবাদকর্মীদের বেতন কমাতে পত্রিকার সম্পাদক মতিউর রহমান একটি কমিটি করে দেন। ব্যবস্থাপনা সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফের নেতৃত্বে ওই কমিটি বেতন কমালেও পত্রিকার মালিক ট্রান্সকম গ্রুপ তাতে আপত্তি জানায়।
[৫] প্রথম আলোর একাধিক কর্মী জানান, শতাধিক কর্মী ছাঁটাই, বেতন কমানো, ওয়েজবোর্ডের কর্মীকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিতে বাধ্য করা, কর্মীকে বঞ্চিত করতে প্রথম আলো থেকে সরিয়ে মিডিয়া স্টারের কর্মী হিসেবে দেখানোসহ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের ফলে অসন্তোষ চলছে।
[৬] শরিফুজ্জামান ও সেলিম খান পদত্যাগ করে নতুন প্রকল্প নেওয়ায় প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ হঠাৎ নড়েচড়ে বসছে।
[৭] শরিফুজ্জামান পিন্টু বলেন, এটা সত্য যে তিনি করোনাকালে কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছেন। তবে এ বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি।