রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতের মধ্যপ্রদেশের ভাস্কর্য টেনেই প্রদেশটির বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। নেটফ্লিক্সের ওয়েব সিরিজ ‘আ স্যুটেবল বয়’-এর একটি দৃশ্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। দেখা গিয়েছে, একটি মন্দিরের মধ্যে তরুণ-তরুণী চুমু খাচ্ছে। এতেই রে রে করে উঠেছে হিন্দুত্ববাদীরা। মধ্যপ্রদেশ সরকার আবার প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে নেটফ্লিক্সের ওই ওয়েব সিরিজটিকে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিতে। দি ওয়াল
[৩] এ বিষয়টি নিয়েই শিবরাজ সরকারকে খোঁচা দিয়ে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া খাজুরাহর দেওয়ালের একটি অংশ ছবি টুইট করে লিখেছেন, “মধ্যপ্রদেশ সরকার পুলিশকে নেটফ্লিক্স খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে। বলেছে, যদি ভাবাবেগে আঘাত লাগার মতো কিছু থাকে তাহলে ব্যবস্থা নিতে। প্রসঙ্গত, রাজ্যের রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটারে দূরেই খাজুরাহ!”
[৪] ভারতে প্রগতিশীলদের অভিযোগ, বিজেপি শাসনামলে এমন ভাবে যৌন শুচিবায়ুগ্রস্ততাকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হচ্ছে যে খোলা মনে কোনও শিল্পের কাজ করা যাচ্ছে না। অযৌক্তিক ভাবে চাপিয়ে দেওয়ার সংস্কৃতি চলছে। তাঁদের বক্তব্য, মনুবাদী সংস্কৃতি দিয়ে সাহিত্য, সিনেমা সব ধরনের শিল্পকর্ম ও মুক্ত চিন্তার উপর বুলডোজার চালানো হচ্ছে। যে মানসিকতা নিয়ে কালবুর্গী, গোবিন্দ পানসারে, গৌরী লঙ্কেশদের হত্যা করা হয়েছে, যে মনোভাব নিয়ে ভারবারা রাও, স্ট্যান স্বামীদের জেলবন্দি করে রাখা হয়েছে এই ঘটনা তারই বৃহত্তর অংশ।
[৫] প্রসঙ্গত, কয়েক বছর আগে সঞ্জয়লীলা বনশালি পরিচালিত, দীপিকা-রণবীর অভিনীত পদ্মাবৎ মুক্তি নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল উত্তর ও পশ্চিম ভারতে। তারপর নাম বদল করতে হয়েছিল প্রযোজনা সংস্থাকে।অনেকের মতে, তার পিছনেও হিন্দুত্ববাদীদের উস্কানি ছিল।
[৬] এলজিবিটি বা সমকামিতাকে বৈধতা দেওয়ার রায়ের পরেও একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন তার বিরোধিতা করেছিল। বলা হয়েছিল, সমকামিতা ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। পশ্চিম থেকে আমদানি। অনেকের মতে, এটা যে একটা শারীরিক প্রবৃত্তি এবং এর মধ্যে বৈজ্ঞানিক ভিত্তি রয়েছে সেটাকেই স্বীকার করতে চায় না গোঁড়া কিছু লোকজন। সেই সময়েও খাজুরাহ মন্দিরের দেওয়াল চিত্রকে তুলে ধরে ভারতীয় সংস্কৃতির কথা বলেছিলেন অনেকে। ফের বললেন মহুয়া।
আপনার মতামত লিখুন :