মঈন উদ্দীন: [২] রাজশাহী নগরীতে ফুটপাতে জমে উঠেছে শীতের গরম কাপড়ের কেনাকাটা। আর কম মূল্যে কাপড় কেনার জন্য লোকজন ভিড় করছে নগরীর বিভিন্ন জায়গার ছোট, বড় সব ফুটপাত গুলোতে।
[৩] পুরো নগরীর জুড়ে বিভিন্ন স্থানে দোকানগুলো পসরা সাজিয়ে বসেছে শীতবস্ত্রের। পাশাপাশি গরম কাপড় কেনাকাটা জমে উঠেছে গরীর ফুটপাতের দোকান গুলোতে। এছাড়া ভ্যানে করে কাপড়ে দেখা মেলেছে ব্যবসায়ীদের নগরীর বিভিন্ন জায়গায়।
আর ক্রেতারা তাদের সাধ্যমতো কম মূল্যের শীতবস্ত্র কিনতে শুরু করছে ফুটপাতে। তবে বেশির ভাগ নিম্ন ও নিম্ন মধ্যম আয়ের মানুষের ভিড় বাড়ছে ফুটপাতের দোকান গুলোতে।
[৪] বাজার ঘুরে দেখা যায় শিশু,নারী, পুরুষ সহ সব বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে এই দোকান গুলোতে কোট, জ্যাকেট, লংকোট, উলের কোট, শর্টকোট, শর্ট জ্যাকেটসহ সব ধরনের পোশাকই পাওয়া যাচ্ছে দোকান গুলোতে।
[৫] ক্রেতা নারগীস বানু বলেন, শীত সবে শুরু হয়েছে এখন পর্যন্ত তীব্র শীত পড়েনি। এখনি কাপড়ের যে দাম বৃদ্ধি পেয়েছে শিত বাড়লে নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে ফুটপাতারে গরম কাপড়।
[৬] ফুটপাতের দোকানদাররা বলেন, গত শীতে যে মূল্যে মানুষ গরম কাপড় কিনেছে তা এবার পাবেনা। কারন গতবারের চেয়ে এবার গরম কাপড়ের ১২ হাজার টাকার বেল্ট ১৬ হাজার টাকা নিচ্ছে। অথাৎ বেল্ট প্রতি ৩ থেকে ৪হাজার টাকা মূল্য বেশি ধরছে পাইকাররা।
[৭] তারা বলেন, এখনও তেমন একটা শিত পড়েনি। তাপরও বিক্রি ভালই হচ্ছে। তবে মুকামে দাম বেশির কারনে আমরাও ক্রেতাদের নিকট দাম একটু বেশি ধরছি। তবে শিত বাড়ার সাথে সাথে গরম কাপড়ের মূল্য বাড়বে বলে তার ধারনা। মূল্য যাইহোক না কেন দোকানের চেয়ে ফুটপাতে অনেক কমমূল্যে গরম কাপড় পাওয়া যায়। আর শীতর তীব্রতা বেড়ে গেলে আরো ভিড় হবে বলে আশা করেন ফুটপাতে বিক্রেতারা।
[৮] এদিকে প্রতিটি লেপ বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকায়। আর কম্বল বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ২৫০০ টাকা পর্যন্ত। সম্পাদনা: হ্যাপি