দীপু তৌহিদুল: যে মানুষ মারণাস্ত্র বানায়, তার কোনো ভালো কথাই আমার অন্তত ভালো লাগে না। যেমন, আমি পাকিস্তানের পরমাণু বিজ্ঞানী আবদুল কাদের খান এবং ভারতের পরমাণু বিজ্ঞানী এপিজে আবুল কালামকে একদম পছন্দ করি না। মাঝে মাঝে মনে হয়, এই দুজন জন্ম না নিলে ভারত-পাকিস্তানের বৈরিতা অনেক কম হতো। তাতে করে এই উপমহাদেশ শান্তিতে থাকতো। আজকে ভারত-পাকিস্তান পাল্লা দিয়ে পরমাণু বোমা বানিয়েই চলেছে। এতে করে উক্ত দু’দশের সাধারণ গরিব জনতার কী উপকারটা হয়েছে? পরমাণু বোমার আতঙ্ক কি শুধু ভারত-পাকিস্তানের জন্যই তারা লাগলে পার্শ্ববর্তী দেশ হিসেবে আমাদের কি বাঁচার উপায় আছে?
যারা অহরহ এই দুটি দেশের মাঝে যুদ্ধ কামনা করেন, তারা মূলত জেনুইন বলদ অথবা ফ্যানাটিক। তারা কখনোই কারোর ভালো চাইতে পারে না। ভারত-পাকিস্তান দোস্তি মানেই আমাদের এই এলাকা ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া। পরমাণু বোমাহীন ভারত-পাকিস্তান অবশ্যই তুলনামূলক স্বস্তিদায়ক অবস্থা রাখতো আমাদের এই অঞ্চলে। এতে করে দুই পক্ষের নাগরিকরা কম মার খেতো, পাশাপাশি বাংলাদেশ নিয়ে উভয়পক্ষের চুলকানি সীমা অতিক্রম করতো না। আমি কখনোই ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ দেখতে ইচ্ছুক নই শান্তিকামি মানুষ হিসেবে, যুদ্ধটারে মনে প্রাণে ঘৃণা করি।
আপনার মতামত লিখুন :