রাহুল রাজ : [২] জয়ের জন্য খুলনার শেষ ওভারে দরকার ছিল ২২ রান। স্ট্রাইকে ছিলেন আরিফুল হক। বোলিং দায়িত্বে মেহেদী মিরাজ। একবল বাকি থাকতেই খুলনা জয় নিজেদের করে নেয়। মিরাজের প্রথম দুই বলে দুই ছক্কায় আরিফ জয়ের আশা জাগিয়ে রাখে।
[৩] তৃতীয় বল ডট চতুর্থ বলে আবার ছক্কা। শেষ দুই বলে দরকার তখন মাত্র চার রান। টি- টোয়েন্টির হিসাবে খুব সহজ। আরিফুল হকের মাথায় ছিল ছক্কার নেশা। পঞ্চম বল উড়িয়ে পাঠিয়ে দেন গ্যালারিতে। এক বল বাকি থাকতেই খুলনা বরিশালের বিপক্ষে জয় তুলে আবারও প্রমাণ করলো ক্রিকেটে শেষ কোন কথা নেই।
[৪] ১৫৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান করে খুলনা। ৪ উইকেটে জিতে খুলনার নামের পাশে ২ পয়েন্ট। ৩৪ বলে ৪৮ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ সেরা আরিফুল হক। জহিরুল ইসলাম অমির ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান।
[৫]এর আগে ২৪ অক্টোবর বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পারভেজ ইমনের ফিফটিতে ভর করে জেমকন খুলনাকে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৫৩ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য দেয় ফরচুন বরিশাল।
[৬] ১৯ তম ওভারে শহীদুল ইসলাম ১ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ উইকেট। নিজের ৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে শহিদুল তুলে নেন ৪ উইকেটে। মূলত খুলনার টাইট বোলিং বরিশালের পক্ষে পারভেজ হোসেন ইমন (৫১) ছাড়া আর কেউ মোকাবেলা করতে পারেন নি।
[৭] অধিনায়ক তামিম ইকবারের ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ১৫ রানের সাদামাটা ইনিংস। খুলনার পক্ষে সাকিব আল হাসান ৩ ওভার বোলিং করে ১৮ রান দিয়ে ১ টি উইকেট তুলে নিজের কামব্যাককে স্মরনীয় করে রাখলেন।
[৮] বরিশালের পক্ষে তাকসিন ও সুমন ২ টি করে উইকেট নিজেদের নামের পাশে যোগ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :