স্পোর্টস ডেস্ক : [২] ক্রিকেট আর বলিউডের সম্পর্ক আজকের নয়। বহুবার এক সুতোয় বাধা পড়েছে এই দুই জগৎ। আবার সুতো ছেড়েও গেছে। মনসুর আলী খান পতৌদি - শর্মিলা ঠাকুর বা বিরাট - আনুষ্কার মতো সুখী দাম্পত্যে যে সকলে পৌঁছতে পারেননি, তা বলাই বাহুল্য।
[৩] এক ভারতীয় নায়িকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান গারফিল্ড সোবার্সেরও। ১৯৬৬ - ৬৭ সাল। ভারতে সিরিজ খেলতে এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শোনা যায়, এক পার্টিতে অঞ্জু মহেন্দ্রর সঙ্গে দেখা হয় গ্যারির। অঞ্জুর বয়স তখন মাত্র ১৭। বলিউডের উঠতি নায়িকা।
[৪] গ্যারির সঙ্গে দেখা হওয়ার সময় রাজেশ খান্নার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল অঞ্জুর। বাক্দানও হয়ে গেছিল। সেই সম্পর্ক ভেঙে বেরিয়ে আসেন অঞ্জু। শুধু গ্যারির জন্যই। এনগেজমেন্ট হয় দু’জনের। এর পর নটিংহ্যামশায়ারের হয়ে কাউন্টি খেলতে চলে যান গ্যারি।
[৫] সে সময়টা ছিল আলাদা। মোবাইল তো দূর, ফোনও তখন ঘরে ঘরে ছিল না। বিদেশে যোগাযোগ রক্ষার একমাত্র মাধ্যম চিঠি। মাঝেমধ্যে ট্রাঙ্ককল। মাসের পর মাস দেখা সাক্ষাৎ নেই। অসম্ভব ব্যস্ত গ্যারি। তাই বেশি কথাও হয় না। ধীরে ধীরে দূরত্ব বাড়তে লাগল।
[৬] ১৯৬৯ সালের সেপ্টেম্বর। অঞ্জুকে না জানিয়েই অস্ট্রেলিয়ান বান্ধবী প্রু কিরবিকে বিয়ে করেন গ্যারি। সব জেনে অঞ্জু সুন্দর একটি চিঠি লেখেন। নবদম্পতিকে শুভেচ্ছা জানান। বাক্দান থেকে মুক্তি দেন গ্যারিকে। দুই পুত্রসন্তানের জন্ম দেন প্রু। একটি শিশুকন্যাকে দত্তক নেন সোবার্স দম্পতি। কিন্তু দাম্পত্য টেকেনি। ১৯৮৪ সালে বিচ্ছেদ। ১৯৯০ সালে তাতে আইনি সিলমোহর পড়ে।
[৭] পরে নিজের আত্মজীবনীতে অঞ্জুর সঙ্গে সম্পর্কের কথা লিখেছিলেন সোবার্স। লিখেছিলেন, কতটা ‘সুন্দর চেহারা আর মনের মানুষ ছিলেন অঞ্জু। তিনি গ্যারির সঙ্গে ইংল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেটারের আক্ষেপ, সেদিন অঞ্জুর কথা শুনলে আজ হয়তো জীবনটা অন্য রকম হত। - আজকাল