সিরাজুল ইসলাম: [২] দেশটির মুসলিম নেতাদের শীর্ষ সংগঠন ফ্রেঞ্চ কাউন্সিল অব দ্য মুসলিম ফেইথকে এ সময় বেঁধে দেন তিনি। বুধবার রাতে এলিসি প্যালেসে ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে তিনি দীর্ঘ বৈঠক করেন। শুক্রবার এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
[৩] এক মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে কট্টর ইসলামপন্থীরা তিনটি হামলা চালানোর পর দেশটির ধর্মীয় নেতাদের এই সিদ্ধান্তের কথা জানালো ফ্রান্স। বৈঠকে রাজনৈতিক ইসলাম প্রত্যাখ্যান এবং যে কোনো ধরনের বিদেশি হস্তক্ষেপ বন্ধে ধর্মীয় নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। সব নির্দেশনা মেনে চলতে একটি সনদ তৈরির কথাও জানান ম্যাক্রোঁ। উগ্রপন্থীদের হামলা এড়াতে একটি আইন প্রণয়নের কথাও জানান তিনি। প্রস্তাবিত আইনের খসড়া নিয়ে ৯ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভায় আলোচনা হবে।
[৪] বৈঠকে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব ইমামস প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তও নেয়া হয়। এ বছরের শুরুর দিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো ইসলামকে ‘সঙ্কটাপন্ন’ ধর্ম হিসেবে বর্ণনা করেন এবং হজরত মুহাম্মদকে (স.) নিয়ে ম্যাগাজিনগুলোর কার্টুন প্রকাশের অধিকার রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। এরপর মুসলিম বিশ্বের চাপের মুখে পড়ে ফ্রান্স।
[৫] অনেক দেশ ফরাসি পণ্য বর্জন করেছেন। বিভিন্ন দেশে ম্যাক্রোঁর শাস্তি দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে। পোড়ানো হয়েছে তার কুশপুত্তলিকা।