শাহীন খন্দকার : [২] রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সৈয়দ সফি আহমেদ বলেন, প্রতিদিন হাসপাতালে অনেক শিশু ডেঙ্গু ও করোনা রোগী আসছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার শিশু ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেশি। তিনি বলেন, বাসা-বাড়ির আঙিনাসহ ঘরের মেজেসহ বাগান পরিস্কার রাখতে হবে।
[৩] সেই সাথে শিশুদের পোশাক ফুলহাট শার্ট এবং টাউজার পরার ওপর জোর দিয়ে বলেন, দিনের বেলায় শিশুর ঘুমের সময় মশারি ব্যবহারের ও পরামর্শ দেন তিনি। এডিস মশা নাশক স্প্রে করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, ডেঙ্গু বাড়ছে-বাড়ছে করোনা।
[৪] শুক্রবার নতুন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে ১২ জন এপর্যন্ত মোট ভর্তি হয়েছে ৬০ জন। এদিকে মার্চ থেকে অক্টোবর ও ( নভেম্বর ২০) পর্যন্ত প্রায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন প্রায় ৪৩০জন। বর্তমানে শিশু করোনা ইউনিটিতে ভর্তি আছে ২০ জন।
[৫] এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, আগামী জানুয়ারিতে শীত আসছে, ঐ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে। নভেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধির কারনে শুরুতে বৃষ্টি হয়েছে। এতে ড্রেনে বৃষ্টির পানি জমাট বেঁধে এডিস মশা ডিম হয়েছে, ফলে এডিস মশার প্রজনন বেড়েছে। তাই ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও বাড়ছে।
[৬] লকডাউনের সময় মানুষ বাসাবাড়িতে ছিল। ঐ সময় ঘরবাড়ি পরিষ্কার রেখেছিল। তাই তখন ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যায়নি। এখন লকডাউন না থাকায় মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসছে। আর বাড়ির আশপাশের জমাট বাঁধা পানি পরিষ্কার করছে না। ফলে এডিস মশার প্রজনন বাড়ছে।
[৭ ] অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ আরও বলেন, এডিস মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করতে হবে। আর এ কাজটি সিটি করপোরেশনের। শুধু মৌসুমে তৎপর হলে হবেনা সারা বছর ধরেই এডিস মশা নিধনের কাজ করতে হবে। সেই সাথে নিজেদেরও সতর্ক থাকতে হবে, ঘরের আনাচে-কানাসে পরিস্কার রাখতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ ও বেশি করে পানি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যাসপ্রিন জাতীয় কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে না।