শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২০, ০৬:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ফরিদপুরে মাদ্রাসা ভাংচুর, আলেম-ওলামাদের সংবাদ সম্মেলন

হারুন-অর-রশীদ: [২] ফরিদপুরের সালথা উপজেলার ভাওয়াল ইউনিয়নের কামদিয়া গ্রামে আহলে হদিস মতাদর্শের মাদ্রাসায় হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয় আলেম-ওলামাগণ। বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) রাত ৮ টায় উপজেলার কাউলিকান্দা দারুল উলুম আইডিয়াল মাদ্রাসার সভা কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলা ওলামা-মাশায়েখ।

[৩] পুরুরা কওমী মাদ্রাসার মোহমাতিমম আল্লামা জহুরুল হক এর পক্ষে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, মুরাটিয়া মাদ্রাসার মোহতামিম হাফেজ মোস্তফা কামাল। এ সময় লিখিত বক্তব্যে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, তথাকথিত আহলে হাদিস একটি গ্রুপ প্রায় এক বছর ধরে সালথা উপজেলার কামদিয়া গ্রামে ভ্রান্ত মতবাদ প্রতিষ্ঠা করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। যা ইসলামের মৌলিক বিষয়ের সাথে সাংঘর্ষিক।

[৪] ওনারা আলেম-ওলামা ও হানাফি মাজহাবের অনুসারীদেরকে কটাক্ষ করে অশালীন বক্তব্য এবং বিভিন্ন প্রপাগান্ডা চালিয়ে আসছে। যাহা নিরসনের জন্য এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও উপজেলা চেয়ারম্যান, ইউএনও ও ওসি’র মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা চালিয়ে আসছিলাম। সর্বশেষ সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর ছেলে শাহাদাব আকবর লাবু চৌধুরীকে বিষয়টি জানানো হয়। তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাধ্যমে একটি সুরাহা করেন।

[৫] তথাকথিত আহলে হাদিস অনুসারীরা তাদের সুরাহাকে উপেক্ষা করে আরো তৎপর হয়ে উঠে। এরপর বুধবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় কামদিয়া গ্রামে ওলামা মাশয়েখ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়। উক্ত সমাবেশের নির্ধারিত সময়ে ইউএনও আমাদেরকে তাঁর কার্যালয়ে আসার আহব্বান করলে আমরা সেখানে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতে থাকি। এরমধ্যে জানতে পারি কওমী মাদ্রাসার কিছু ছাত্রদের উপর তথাকথিত আহলে হাদিসের অনুসারীরা অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে প্রাণনাশের উদ্যেশ্যে বেধড়ক মারধর করে। এবং একজন ছাত্রকে আটকিয়ে রাখে। ঘটনাটির খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় তৌহিদী জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ঘরবাড়ি ও আস্তানা ভাংচুর করে।

[৬] লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, আমরা ইতিমধ্যে লক্ষ্য করছি যে, সালথা আলেম ওলামাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য কিছু গণমাধ্যম আসল বিষয়টি না জানার কারণে ঢালাওভাবে আলেম-ওলামাদের উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তাই আমরা প্রশাসন ও সাংবাদিদের মাধ্যমে সত্যতা যাচাই পূর্বক শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার আশা করছি। এ সময় কামিদয়া গ্রামের অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত আলেমরা।

[৭] সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলার বাহিরদিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আকরাম আলী, পুরুরা মাদ্রাসার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা নিজামুদ্দীন, সালথা মাদ্রাসার মুহতামিম মুফতী মফিজুর রহমান, কাউলিকান্দা দারুল উলুম মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা ঝিনাতুল ইসলাম প্রমূখ। সম্পাদনা: সাদেক আলী

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়