দেবদুলাল মুন্না: [২] এ অভিযোগ করেছে মিডিয়া মোগল রুপার্ট মারডকের মালিকানাধীন পত্রিকা দ্য অস্ট্রেলিয়ান। তবে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা এর প্রতিবাদ করেছেন । সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক শ্যামল টৌধুরী নিউজ ফিডব্যাক’কে বলেন, কেভিন রাড বাংলাদেশি বটের সঙ্গে যুক্ত, এমন কোনো প্রমাণ নেই। আবার কেউ যদি বাংলাদেশিদের স্বাক্ষর জালিয়াতি করে তবে সেটার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রযুক্তি জগতে ওয়েব রোবটকে সংক্ষেপে ‘বট’ বলা হয়। এটি মূলত এক ধরনের স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন। কিছু ‘বট’ নিজে থেকেই কাজ করে আবার কিছু ‘বট’ কাজ করে যখন কেউ ইনপুট ব্যবহার করে।
[৩] দ্য অস্ট্রেলিয়ানের দাবি, মারডকের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে ই-পিটিশন চালু করে অস্ট্রেলিয়ায় রেকর্ড সংখ্যক ভোট পাওয়ার পর আলোচনায় এসেছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী কেভিন রাড। ৫ লাখ ইলেকট্রনিক স্বাক্ষর জালিযাতি করেছেন। কেভিন রাড মিডিয়া রয়্যাল কমিশন পিটিশনে অর্থ দিয়ে বিদেশ থেকে অনেক স্বাক্ষর এনেছেন। এর মধ্যে এক বাংলাদেশি ১ হাজার নাম সরবরাহ করেছেন।
[৪] দ্য অস্ট্রেলিয়ান তাদের শিরোনামে ‘রাডের বাংলাদেশি বট’ উল্লেখ করেছে। কিন্তু অনেক প্রযুক্তি বিশ্লেষক প্রতিবেদনটিকে ভুয়া এবং বিভ্রান্তিকর বলে আখ্যা দিয়েছেন। দ্য অস্ট্রেলিয়ানের দাবি, এই বটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ই-পিটিশনে অনেক নাম গেছে।
[৫] রাডের পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিবিদ মারডকের সংবাদমাধ্যমে বিরুদ্ধে দেশটির সংসদকে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ওই পিটিশন চালু করেন। তাদের দাবি, অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিতে মারডকের নিউজ করপোরেশন নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
আপনার মতামত লিখুন :