শিরোনাম
◈ ওড়না কেড়ে নিয়ে পুরুষ কর্মকর্তাদের উল্লাস, নারী বন্দিদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ◈ রেকর্ড উৎপাদনের সুফল কোথায়? চালের বাজারের চালকের আসনে কারা? ◈ পবিত্র আশুরা আজ ◈ তরুণ ক্রিকেটার তানভীরের ফাইফারে সিরিজ সমতায় বাংলাদেশ ◈ 'শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দখল করেছে জামায়াত': গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ◈ ১৪ হাজার কোটি রুপি কেলেঙ্কারি, যুক্তরাষ্ট্রে গ্রেপ্তার ভারতের নেহাল মোদি (ভিডিও) ◈ মোবাইল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে গ্রাম্য সালিস থেকে রক্তাক্ত ট্র্যাজেডি ◈ জাতীয় নির্বাচনে বাধা দেওয়ার শক্তি কারো নেই: কেরানীগঞ্জে বিএনপি সমাবেশে সালাহ উদ্দিন আহমদের হুঁশিয়ারি ◈ তুর্কমেনিস্তানকে কাঁ‌পি‌য়ে দি‌লো বাংলা‌দেশ, এশিয়ান কাপে যাচ্ছে ঋতুপর্ণারা ◈ চী‌নে জু‌নিয়র হ‌কি‌তে একদিনে বাংলাদেশ পুরুষ ও নারী দ‌লের জয়

প্রকাশিত : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল
আপডেট : ১৯ নভেম্বর, ২০২০, ০৯:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১]ধর্ষক নাতি, সালিশে ৮৫ বছরে দাদার সঙ্গে ১১ বছর শিশুর বিয়ে দিলেন স্থানীয় মাতুববররা !

ডেস্ক রিপোর্ট : [২]লম্পট নাতির কুকর্মের দায় সালিশিতে স্থানীয় মাতবররা ৮৫ বছর বৃদ্ধ দাদার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। নাতির ধর্ষণে শিশু অন্তঃসত্ত্বা ও গর্ভপাত ঘটানোর ফল ভোগ করছেন ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় মাতবররা সাত সন্তানের জনক ৮৫ বছরের ওই বৃদ্ধের সঙ্গে ১১ বছরের শিশুর বিয়ে দিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দুর্গম চরাঞ্চল আমখাওয়া ইউনিয়নের বয়ড়াপাড়া গ্রামে।

[৩]স্থানীয় লোকজন জানান, স্থানীয় মহিলা মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীর (১১) সঙ্গে সুরমান আলীর বখাটে ছেলে শাহিনের (১৮) শারীরিক সম্পর্ক হয়। এতে ওই শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়। ১০-১২ দিন আগে কবিরাজি চিকিৎসায় গর্ভপাত ঘটানো হয়। বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে এ নিয়ে ইউপি সদস্য ও স্থানীয় মাতবররা এ বিষয়ে সালিশ বৈঠক করেন। সালিশে নাতির কুকর্মের দায় চাপিয়ে দেয়া হয় ৮৫ বছরের বৃদ্ধ দাদার ওপর। শেষে বৃদ্ধের সঙ্গেই ওই শিশুছাত্রীর বিয়ে দেয়া হয়।

[৪]বুধবার দুপুরে সরেজমিন ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মহির উদ্দিনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না, চোখেও ঝাপসা দেখেন। তিনি সাত সন্তানের পিতা। দুই স্ত্রী মারা গেছেন। তৃতীয় বিয়েটি করেছেন ২৭ বছর আগে। বৃদ্ধকে জিজ্ঞাসা করা হয় চতুর্থ বিয়ে কী কারণে করলেন?

বৃদ্ধ মহির উদ্দিন বলেন, আমার একটা দোষ বর্তাইয়া বিয়া করাইছে গফুর মাস্টার, কদ্দুছ মাস্টার, নাদু মেম্বারসহ কয়েকজন। আসলে আমি নির্দোষ। এ সময় দাঁড়িয়ে থাকা বৃদ্ধের মেয়ে আবেদা খাতুন বলেন, মেয়েটির গর্ভপাত বড়ি খাইয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার মাদ্রাসাশিক্ষক বলেন, ছেলের ঘরের নাতি দোষ করেছে, এর দায়ভার জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা ওই বৃদ্ধের ওপর চাপিয়ে শিশুটিকে বিয়ে দেয়া হয়।

চর আমখাওয়া ইউনিয়নের সদস্য জয়নাল আবেদীন নাদু বলেন, মুরব্বিদের নিয়ে সালিশ করা হয়। সালিশে অনৈতিক কাজ করায় বৃদ্ধকে ১০ দোররা এবং শাহিনকে ১০টি দোররা মেরে শরীয়ত মতে বিয়ে হয়। তবে তার ছেলে ঘরের নাতি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। এ ঘটনার জন্য বৃদ্ধই দায়ী।

চর আমখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ জানান, এটা আশ্চর্য ও ন্যক্কারজনক ঘটনা। যারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানার ওসি এমএম মইনুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের ঘটনা আমার জানা নেই। সূত্র : যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়