বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] যদিও ২০১১ সালের এক সমীক্ষায় আমেরিকার নির্বাচনে দুর্নীতির পরিমাণ ০.০০০৯ এর চেয়ে কম বলা হয়েছে।
[৩] ট্রাম্প ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে জালিয়াতির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। ফেডারেল ইলেকশান কমিশনার এলেন ওয়েন তার এই অভিযোগ একবারেই উড়িয়ে দিয়েছেন।
[৪] এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন, রিপাবলিকান সিনেটর তুলসি গাবার্ড। তিনি বলেছেন, অনিয়মের সব অভিযোগ উড়িয়ে দেয়া যাবে না। ফেডারেল ইলেকশান কমিশনের কাজ নির্বাচনি প্রচারের অর্থ সংক্রান্ত আইন কার্যকর করা। ভোটের নিয়ম ও গণনা পদ্ধতি রাজ্যভেদে বদলায়।
[৫] ২০০০ সালে ফ্লোরিডার নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ করেছিলেন আলগোর। কিন্তু সুপ্রীম কোর্টের আদেশে রাষ্ট্রপতি হন জর্জ ডাব্লিও বুশ। ২০০৪ সালের জন কেরির পরাজয় নিয়ে ধোঁয়াসা রয়েছে। রবার্ট এফ কেনেডি অভিযোগ করেছেন, রিপাবলিকানরা ওহাইওর সাড়ে ৩ লাখ ভোটে বাঁধা না দিলে জন কেরি জয়ি হতেন।
[৬] গবেষণামূলক বই প্রুভিং ইলেকশান ফ্রড বইয়ে রিচার্ড শার্নিন ভুতুরে ভোটের হিসাব দিয়েছেন। ১৯৮৮, ১৯৯২ ও ২০০৮ এর নির্বাচনেও এই ভুতুরে ভোট প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছে।
[৭] যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের নিয়ম রাজ্য ভেদে ভিন্ন। যখন প্রার্থীরা পরষ্পর বিতর্কে লিপ্ত। তার আগেই ভোট দিয়ে দিয়েছে ভোটার। কোথাও ৪ দিন আগে, কোথাও ৪৫ দিন। আবার নির্বাচনের দিনও প্রচার চলে অনেক জায়গায়।
[৮] যুক্তরাষ্ট্রের এসব গলদ কাজে লাগিয়ে কে জানে সিনেট, রিপাবলিকান গভর্নর ও সুপ্রীম কোর্টকে কাজে লাগিয়ে ট্রাম্প হয়তো থেকেই যেতে পারেন সাদা বাড়িতে।