ইসমাঈল ইমু: [২] পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, সিআইডি থেকে মামলাটি পিবিআইতে এসেছে শুনেছি। তবে কুমিল্লা পিবি আইতে এটি হস্তন্তর করেনি। মামলাটি সেন্ট্রাল পিবি আই দেখছেন যতটা সম্ভব। তবে সেন্টাল পিবিআইয়ের এক কর্মকর্তা জানান, তাদের কাছে এ ধরনের কোনো খবর নেই। মামলাটি সিআইডিই তদন্ত করছে।
[৩] এতিদকে হত্যাকান্ডের সাড়ে চার বছরে মামলাটির তদন্তভার পুলিশ, ডিবি, সিআইডির হাত পরিবর্তন হলেও দীর্ঘ এই সময়েও তনুর হত্যাকারীরা শনাক্ত হয়নি।
[৪] তনুর বাবা ইয়ার হোসেন জানান, চার বছর ধরে মামলাটি সিআইডিতে। তারা কখন পিবি আইতে হস্তান্তর করেছে আমরা জানি না। গত ১৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে কিছু পিবিৎআই সদস্য আসেন সেনানিবাসের ভেতরে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তারপর আমাদের সাথে কথা বলতে এসে জানায় মামলাটি এখন পিবি আই তদন্ত করছে। সিআইডিতে এখন আর নেই।
[৫] ২০১৬ সালের ২০ মার্চ সন্ধ্যায় কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরে একটি বাসায় টিউশনি করতে গিয়ে আর বাসায় ফেরেনি তনু। পরে স্বজনরা খোঁজাখুঁজি করে রাতে বাসার অদূরে সেনানিবাসের ভেতর একটি জঙ্গলে তনুর মরদেহ পায়। পরদিন তার বাবা কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের অফিস সহায়ক ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। থানা পুলিশ ও ডিবির পর ২০১৬ সালের ১ এপ্রিল থেকে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডি কুমিল্লা।