রাশিদুল ইসলাম : [২] যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশিয়াস ডিজিজের ডিরেক্টর ও হোয়াইট হাউসের প্রধান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এপিডেমোলজিস্ট অ্যান্থনি ফাউচি বলেছেন ডিসেম্বরের শেষেই বাজারে ভ্যাকসিন চলে আসার সম্ভাবনা প্রবল। ভ্যাকসিনের সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট চলে আসবে আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই।
[৩] মোডার্না বায়োটেক নাকি ফাইজারের টিকা আগে আসবে সে নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথের ডিরেক্টর ডক্টর ফ্রান্স কলিন্স বলেছেন, মোডার্না বায়োটেকের টিকা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে রয়েছে। ফাইজার ও জার্মান সংস্থা বায়োএনটেক নভেম্বরের মধ্যেই টিকার সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট জমা দেবে। দুই কোম্পানির টিকারই বিপুল পরিমাণ ডোজ তৈরির অবকাঠামো তৈরি আছে।
[৪] ফাউচি বলেছেন, আগামী বছরের মাঝামাঝি যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ নাগরিকেরই টিকাকরণ হয়ে যাবে। ২০২২ সালের মধ্যেই মার্কিন নাগরিকরা ভাইরাস-মুক্ত হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।
[৫] ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকার সঙ্গে ভ্যাকসিন দৌড়ে সমান তালে পাল্লা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের দুই ফার্মা জায়ান্ট মোডার্না বায়োটেক ও ফাইজার।
[৬] ফাউচির তত্ত্বাবধানে এমআরএনএ ভ্যাকসিন বানিয়েছে মোডার্না। সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বড় ভ্যাকসিন ও ওষুধ নির্মাতা সংস্থা লোনজা গ্রুপ এজির সঙ্গে ১০ বছরের চুক্তিও হয়েছে মোডার্নার। বছরে প্রায় ৩০ কোটি ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে।
[৭] ফাইজারের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার অ্যালবার্ট বোরলা বলেছেন, টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে আশা জাগছে। টিকার ডোজের মাত্রাও নির্ধারণ করা হয়ে গেছে। উৎপাদন শুরু হচ্ছে।