নূর মোহাম্মদ: [২] বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া এবং বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের বেঞ্চে তদন্ত প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ঘটনায় মহিলার স্বামীর সম্পৃক্ততা ছিলো। চৌকিদার, মেম্বার-চেয়ারম্যান ও বেগমগঞ্জ থানার ওসির অবহেলা ছিলো। আর অবহেলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়।
[৩] প্রতিবেদন দেখে প্রধান অভিযুক্ত দেলোয়ারের বিষয়ে হাইকোর্ট বলেছেন, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সে এই ক্ষমতা পেয়েছে। আর সুন্দর প্রতিবেদনের জন্য কমিটি ধন্যবাদ জানান আদালত।
[৪] এর আগে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় নারীকে নিজ ঘরে ধর্ষণচেষ্টা ও বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ভিডিওটি সিডি বা পেনড্রাইভে কপি করে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিটিআরসি চেয়ারম্যানকে এসব নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়। পাশাপাশি ওই ঘটনায় দায়ের হওয়া ফৌজদারি মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নারীর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন আদালত।
[৫] একইসঙ্গে ঘটনার বিষয়ে ভিকটিমের বক্তব্য গ্রহণে পুলিশের কোনও অবহেলা আছে কিনা, তা অনুসন্ধান করতে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে জেলা সমাজ সেবা অফিসার এবং চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজের অধ্যক্ষকে ওই ঘটনা সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে বলা হয়। নির্দেশ অনুযায়ী অনুসন্ধান শেষে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। যা আজ আদালতে উপস্থাপন করা হয় বলে জানান আব্দুল্লাহ আল মামুন। যিনি এর আগে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন।
আপনার মতামত লিখুন :