দেবদুলাল মুন্না:[২] অনলাইনে বিশেষ করে ফেসবুকে তথ্য চুরি ও বিকৃত করে যৌনতা কেন্দ্রিক চাঁদাবাজির (সেক্সটোরশন) অভিযোগ উঠছে বলে এ আহ্বান জানিয়েছে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। এ ফাউন্ডেশন জানায় দেশের প্রচলিত আইনের দুর্বলতার কারণেও এ ধরনের অপরাধকে সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা। ডিজিনেট
[৩] গতকাল ‘সেক্সটোরশন: প্রেক্ষিত বাংলাদেশ’ শীর্ষক পরামর্শ সভার আয়োজন করে সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন (সিসিএ ফাউন্ডেশন)। অনলাইনে এই ওয়েবিনারে প্যানেলিস্ট হিসেবে অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপারসন খন্দকার ফারজানা রহমান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার সাইমুম তালুকদার ও ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার মনিরা নাজমী জাহান।
[৪] সভায় বাংলাদেশে সেক্সটোরশনের প্রবণতা বিষয়ে পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনা দেন সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ। খন্দকার ফারজানা রহমান বলেন, সেক্সটোরশন প্রতিরোধে একান্ত ব্যক্তিগত মুহূর্তের কনটেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা দরকার। কারণ আমরা দেখেছি দেশের একজন জনপ্রিয় ব্যক্তির ভিডিও তিনি প্রকাশ না করলেও অন্য কোনোভাবে সেটি প্রকাশ হয়েছে এবং এজন্য তাকে ভুগতে হয়েছে।
[৫] সভায় জানানো হয়, দেশে বর্তমানে সেক্সটোরশনের ঘটনাগুলো পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হচ্ছে। ২০১৫ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা হয়েছে যথাক্রমে ২৩২, ২০৬, ২৮০, ৩৭৩ ও ৫৪০টি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেই আইনেও সেক্সটোরশনের মতো অপরাধকে ঠিকভাবে সংজ্ঞায়িতই করা হয়নি।