সুজন কৈরী: [২] এ বি সিদ্দিক নৌবাহিনীর কর্মকর্তার ওপর হামলা মামলার অন্যতম আসামী। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের রমনা জোনাল টিম রাত সাড়ে তিনটায় তাকে টাঙ্গাইল থেকে গ্রেপ্তার করে।
[৩] ধানমন্ডিতে মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ নিজেই বাদী হয়ে সোমবার ভোরে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন। মামলার এজাহারে হাজী সেলিমের ছেলে ও ডিএসসিসির কাউন্সিলর ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদ, পিএস এবি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও দুই-তিন জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার পরপরই গাড়িচালককে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সোমবার তাকে আদালতে সোপর্দ করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) আশফাক রাজীব হায়দার। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমান এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
[৪] মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, রোববার নীলক্ষেত থেকে বই কিনে মোটরসাইকেলে করে ওয়াসিফ মোহাম্মদপুরের বাসায় ফিরছিলেন। সঙ্গে তার স্ত্রীও ছিলেন। ল্যাবএইড হাসপাতালের সামনে তার মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। ওয়াসিফ আহমদ মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়িটির গ্লাসে নক করে নিজের পরিচয় দিয়ে ধাক্কা দেয়ার কারণ জানতে চান। তখন এক ব্যক্তি বের হয়ে তাকে গালিগালাজ করে। তারা গাড়ি নিয়ে কলাবাগানের দিকে যায়। মোটরসাইকেল নিয়ে ওয়াসিফও তাদের পেছন পেছন যান। কলাবাগান বাসস্ট্যান্ডে গাড়িটি থামলে ওয়াসিফ তার মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান। তখন তিন-চার জন লোক গাড়ি থেকে নেমে বলতে থাকে, ‘তোর নৌবাহিনী/সেনাবিহিনী বাইর করতেছি, তোর লেফটেন্যান্ট/ক্যাপ্টেন বাইর করতেছি। তোকে আজ মেরেই ফেলবো’ এই কথা বলে তাকে কিলঘুষি দিতে থাকে। পরে ট্রাফিক পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে এবং হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ কর্মকর্তা তাকে আনোয়ার খান মডেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
[৫] এ মামলায় এ পর্যন্ত ইরফান সেলিমসহ ৪ আসামী ধরা পড়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব