রুহুল আমিন: আমি প্রায়ই বলে থাকি, শেখ হাসিনা কারও হাতে খান না, নিজের হাতেই খান, নিজের পায়েই হাঁটেন। বাংলাদেশের প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্র কোন বিষয়ে শেখ হাসিনা অন্যকারো কথায় কোন সিদ্ধান্ত নেন না। তিনি বাংলাদেশের স্বার্থ দেখেই সিদ্ধান্ত নেন। রাজনৈতিকভাবে চরম ঝুঁকি থাকা সত্যেও বঙ্গবন্ধু ভারতের সাথে অতিরিক্ত সম্পৃক্ততা দূর করতে নিকটতম কাউকে কাউকে মন্ত্রী সভা থেকে সরিয়ে দিয়েছেন, তেমনটি করেছেন শেখ হাসিনাও। নাম বলে কাউকে বিব্রত করতে চাই না।
শেখ হাসিনার ক্ষমতায় টিকে থাকার কারণটা বিদেশে নয়, দেশের মাটিতে। তার পা বিদেশের মাটিতে নয়, তার পা প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশের মাটির উপর। মাঝে মাঝে তিনি হাটতে যান, চীন, ভারত, সৌদি আরব, রাশিয়া, আমেরিকা, তুরস্ক বা ব্রিটেন।
দিন শেষে তিনি উদ্দিপ্ত করেন বাংলাদেশের জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে। বঙ্গবন্ধুর পরে সবাই জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছে কিন্তু শেখ হাসিনা তাদের উদ্দীপ্ত করে রাখেন, জাতীয়তাবাদী আদর্শ আর একটার পর একটা লক্ষ্য ও কর্মসূচি দিয়ে। সেটা সামরিক ও বেসামরিক সর্বত্র। শেখ হাসিনা জলে ও স্থলে সীমান্ত বিষয়ে একটি স্থীর সমাধানে পৌঁছে যাওয়ার সফলতার পর শেখ হাসিনা আন্তরাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিষয়েও সিদ্ধান্তে পৌঁছে গেছেন। বাংলাদেশ কাউকে আক্রমণ করবে না কিন্তু কেউ আক্রমণ করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এটা শুধু কথায় নয়, কাজেও পরিস্কার করেছে। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা কাঠামো এজন্যই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার গর্বের জায়গাটা ফিরে পায়। এটাই শেখ হাসিনার টিকে থাকার মূল কারণ! ফেসবুক থেকে