রুহিন হোসেন প্রিন্স: অনেক মানুষের কাজ নেই, কাজ থাকলেও অনেকের বেতন কমে গেছে, অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, বেকারত্ব বাড়ছে। অন্যদিকে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছেই। করোনা পরিস্থিতিও স্বাভাবিক নয়, যেকোনো সময় বাড়তে পারে। চিকিৎসা ব্যবস্থা সচল নেই। সাধারণ জনগণের দায়, দায়িত্ব নেওয়ার কেউ আছে বলে মনে হয় না। প্রবৃদ্ধির গল্প শুনে লাভ কী? ‘মানুষের কাছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য সরবরাহ, বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা, প্রয়োজনীয় মানুষের কাছে নগদ টাকা পৌঁছানো জরুরি।’ একই সঙ্গে করোনা থেকে মুক্ত থাকতে ‘মানসম্পন্ন মাস্ক, হাত ধোয়া সামগ্রী পৌঁছানো,মানুষ যাতে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারে, তার ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা সচল করা জরুরি’। নিজেদের সচেতনতা,‘নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার, নিয়মিত হাতকে জীবাণুমুক্ত রাখা, দূরত্ব বজায় রেখে চলা ও এসব বিষয়ে প্রতি মুহূর্তে অন্যদের সচেতন করাও জরুরি কাজ।’
এসময় দুর্নীতি, লুটপাট, নারী-শিশু নির্যাতন, দখলদারিত্ব, মামলা-হামলা, কণ্ঠরোধ থেমে নেই। থেমে নেই কর্তৃত্ববাদী শাসন দীর্ঘায়িত করার আয়োজন। অন্ধকারের আপশক্তিও বসে নেই। ঘরে বসে, প্রযুক্তি ব্যবহার করে, ‘মিথ্যা, বিকৃত তথ্য প্রচার, প্রগতিশীল ধারাকে আক্রমণের তীব্রতা বেড়েই চলেছে’। তথ্য বলছে, করোনার সময় ৭২ শতাংশ মানুষের আয় কমে গেলেও কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। আম্পান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ, দেশের শ্রমজীবী মানুষ, বিদেশ থেকে আসা ও বিদেশে থাকা শ্রমজীবী মানুষের সংকটও বাড়ছে। এজন্য সংকটজনক পরিস্থিতিতেও কণ্ঠ সোচ্চার করা, নানা ভাবে জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত করা, প্রতিরোধ করার কাজকেও এগিয়ে নেওয়ার বিকল্প নেই । ফেসবুক থেকে