পীর হাবিবুর রহমান: আমাদের সম্পর্ক অনেক বছরের। আমাদের কথা হয় ইতিহাসের পাঠে, চোখে চোখে, হাসির বিনিময়ে হাসিতে, কখনো ভ্রুপল্লবে। কখনো ইশারায়। আমি বলতে গেলেই তিনি বুঝে নেন, তার বলার আগেই আমি। আমাদের সেন্স অব হিউমারে কথোপকথন হয়। পারিবারিক সম্পর্কের মাত্রাটাও তীব্র। আমার একটা আদর আর আবদার ঝগড়ার সম্পর্ক। ভাবিও উপভোগ করেন। তার সাথে সম্পর্কের গভীরতা অনেক। এক কথায় তার পরিচয় তোফায়েল আহমেদ। বঙ্গবন্ধুর তোফায়েল বলেন কেউ, কেউ আওয়ামী লীগের তোফায়েল, কেউ বলেন জাতীয় নেতা, কেউ ডাকসু ভিপি ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানের মহাপ্রলয়ের কিংবদন্তি নায়ক! কেউ মুজিববাহিনীর অন্যতম প্রধান, কেউ বলেন, পার্লামেন্টারিয়ান, কেউবা যৌবনের মিছিলের মুখ থেকে বলেন, উত্তম কুমার। আমি বলি ইতিহাসের তোফায়েল আহমেদ। তার প্রতি আমার অভিযোগ থাকলেও দারুণ আবেগ ও ভালোবাসা। আসলে তার মূল্যায়ন কঠিন। যেদিন তিনি থাকবেন না সেদিন গোটা জাতি জানবে আসলে তিনি কি ছিলেন। এক জীবন্ত এন সাইক্লোপিডিয়া তোফায়েল আহমেদ সুস্থ সবল দেহে শতপার করুন। কেউ বিপদে পড়লে কোথায় দাঁড়াবে মানুষ? দেশ ও মানুষের জন্য তার বেঁচে থাকা বড় বেশি জরুরি। আল্লাহর কাছে আজ এ আমার অন্তরের মোনাজাত।
ইতিহাস বারবার জাতিকে তোফায়েল জন্ম দেয় না। একটা ঘটনা বলি,একদিন তোফায়েল ভাই গল্প করতে করতে প্রশ্ন করলেন তোমার এসএসসি কবে? বললাম এইতো কাছাকাছি! তিনি উত্তেজিত!কাছাকাছি মানে? বললাম আপনি প্রবীন রাজনীতিবিদ আর আমি প্রবীণ সাংবাদিক। আরেক তোফায়েলকে চিনতে হলে ভোলা যেতে হবে।
পুনশ্চ: এক লোক জিজ্ঞেস করলো জীবনের প্রথম প্রেম কি ভোলা যায়? নর না নারী বললাম না। জবাবে কেবল আরেকজন বললো, সদরঘাট গিয়ে জিজ্ঞেস কর চাঁদপুর না ভোলা যায়! আসলে তোফায়েল ভাইয়ের প্রেমে পড়ে ভাবি একটা জীবন সুখে কাটালেন কতো সংগ্রামে! আর আমরা ভোলা যেতে পারবো না? তার সাথে ভোলাও গেছি। আমাদের স্মৃতি গৌরব আনন্দ ও সুখের। শুভ জন্মদিন প্রিয় তোফায়েল ভাই,আড্ডায় গল্পে আপনার সাথে দীর্ঘপথ হেঁটেছি। অনন্তকাল হাটতে পারি। ফেসবুক থেকে