নিজস্ব প্রতিবেদক : [২] লকডাউনে প্রায় ৬ মাস ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন ক্রিকেটাররা। এরপর বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ দিয়ে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরেছেন টাইগাররা। চলমান এই টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত ব্যাটসম্যানদের সফলতা নেই বললেই চলে।
[৩] অপরদিকে দারুণ সফল বোলাররা। বিশেষ করে পেস বোলাররা। ফলে লকডাউনে বোলাররা যে উন্নতি করেছেন সেটা চোখে পড়েছে সবার। দৃষ্টি এড়ায়নি টাইগার হেড কোচেরও। রুবেল – তাসকিনদের এমন পারফর্ম্যান্স মুগ্ধ করেছে টাইগার গুরুকে।
[৪] ২২ অক্টোবর, সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে ভার্চূয়াল আলাপে যুক্ত হয়ে পেসারদের প্রসংশা করে প্রোটিয়া কোচ বলেন, ‘আমরা গত সাত-আট মাস ধরে কয়েকজন তরুণ ফাস্ট বোলারের সন্ধান করছিলাম।
[৫] এখন আমরা একটা ফাস্ট বোলারের গ্রুপকে উন্নতি করতে দেখছি যারা প্রতিদ্ব›দ্বীতাপূর্ণ হতে পারে। আপনি তাসকিন, ফিজ (মোস্তাফিজ), আল-আমিন, হাসান মাহমুদ, খালেদ, শরিফুলের দিকে তাকান।
[৬] আমাদের এখন ছয়-সাতজন ফাস্ট বোলার আছেন যারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফরম্যান্স দেখাতে পারেন। আমি মনে করি গত দুই সপ্তাহ সত্যিই ভালো কিছু বোলিং হয়েছে। যেটা আমার জন্য অনেক বড় ইতিবাচক দিক।’
[৬] তিনি আরও বলেন, ‘আপনি তাসকিনের ফিটনেস দেখুন। রুবেল যেভাবে এগুচ্ছে এবং খালেদ যে কিনা মাত্রই বড় ইনজুরি থেকে ফিরল। ছেলেরা সত্যিই তাদের ফিটনেস নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করেছে। আমরা তাদের স্কিল বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পারফর্ম করতে পারে তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। তাসকিন যেভাবে নিজেকে পরিবর্তন করেছে সেটা ইতিবাচক। সে অনেক পরিশ্রম করেছে। তার শারীরীক অবস্থা এখন খুব ভালো। সে একটি বা দুটি স্পেলের চেয়েও বেশি বোলিং করতে পারে। এটা আমাদের জন্য আনন্দদায়ক।’
[৭] যুব বিশ্বকাপজয়ী পেসর শরিফুলের প্রসংশা করে ডমিঙ্গো বলেন, ‘তাকে নিয়ে আরও কাজ করার আছে। বাঁহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে বল ভেতরে ঢুকাতে শেখাতে হবে তাকে। তার ভালো গতি, বাউন্সার আছে, মনোভাবও দারুণ। সব সময় শিখতে চায়। এগুলো একজন তরুণ ফাস্ট বোলারের জন্য ভালো বৈশিষ্ট্য। সে একজন আত্মবিশ্বাসী তরুণ।’
আপনার মতামত লিখুন :