শরীয়তপুর প্রতিনিধি: [২] শরীয়তপুরের ডামুড্যা পৌরসভায় একটি ডোবা থেকে হাত-পা ও মুখবাঁধা অবস্থায় কাজল আক্তার (১৫) নামে এক স্কুলছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কুলকুড়ি গ্রামের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত কাজল আক্তার (১৫) ওই গ্রামের আলাউদ্দিন ছৈয়ালের মেয়ে ও ডামুড্যা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী।
[৩] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,কুলকুড়ি গ্রামের শ্রমজীবী আলাউদ্দিন ছৈয়ালের পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে। কাজল আক্তার তার চতুর্থ সন্তান। বুধবার রাতে প্রতিদনের মতো পাশের ঘরে টিভি দেখতে যাওয়ার জন্য বের হয় কাজল। পরে আর ঘরে ফেরেনি।
[৪] রাতে ঘরে না ফেরায় পরিবারের লোকজন প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন যায়গায় খোঁজ করে না পেয়ে পুলিশকে বিষয়টি জানায়। বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা ডোবায় লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপতালে পাঠায়।
[৫] কাজল আক্তারের মা ভুল বেগম বলেন, রাতে কারা যেনো আমার মেয়েকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে হত্যা করে ডোবায় ফেলে দিয়েছে। যারা আমার মেয়ের হত্যাকারী তাদের ফাঁসি চাই। ডামুড্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সামসুল আলম সবুজ বলেন, আমার জানামতে, “কাজল অনেক ভালো মেয়ে। মেয়েটিকে যারা হত্যা করেছে তাদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক।”
[৬] ডামুড্যা থানার ওসি (তদন্ত) এমারত হোসেন বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছি। এখনও কেউ অভিযোগ করতে থানায় আসেনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী