জিএম মিজান: [২] শনিবার দিবাগত রাতে শেরপুর ঘটনাটি ঘটে। গ্রেফতারকৃত সাইফুল ইসলাম (২৮) সুঘাট ইউনিয়নের চোমরপাথালিয়া গ্রামের শাহ আলী জামাদারের ছেলে সে পেশায় রাজমিস্ত্রি। ধর্ষিতা গৃহবধূ বাদি হয়ে রবিবার সকাল ১০টায় থানায় মামলা দায়ের করেন।
[৩] মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সুঘাট এলাকার চোমরপাথালিয়া গ্রামে লম্পট সাইফুল ইসলাম এই গৃহবধূকে উত্যক্ত করে আসছিল। এমনকি একাধিকবার বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তার প্রস্তাবে রাজী না হওয়ায়। ঘটনার দিন সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে সাতটার দিকে প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে নিজ শয়নকক্ষে ঘুমাতে যান।
[৪] একপর্যায়ে রাত নয়টায় বাথরুম সারার জন্য ঘর থেকে বের হন। আর এই সুযোগে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা লম্পট সাইফুল ইসলাম ওই গৃহবধূর ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকেন। পরে গৃহবধূ বাহির থেকে ঘরে প্রবেশ করা মাত্র তার মুখ চেপে ধরে নানা ভয়ভীতি দেখায় লম্পট সাইফুল। এরপর জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। এসময় গৃহবধূর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এসে ধর্ষক সাইফুল ইসলামকে হাতেনাতে ধরে গণধোলাই দেয়। এরপর থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে, স্বানীয়রা ধর্ষককে পুলিশে সোপর্দ করেন।
[৫] শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম আবুল কালাম আজাদ এ প্রতিবেদক-কে বলেন, গৃহবধূকে ধর্ষনের ঘটনায় থানায় একটি মামলা নেয়া হয়েছে। ধর্ষিতা গৃহবধূকে পরীক্ষার জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারকৃতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ