জিয়া উদ্দিন সিদ্দিকী: [২] গত ১৪ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে ইলিশ প্রজননের প্রধান মৌসুম। এই সময়ে বেকার জেলেদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিষয়টি উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
[৩] গত ১৪ অক্টোবর থেকে আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন সাগর নদ-নদীতে জেলেদের ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। এই সময় ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অমান্য কারীদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।
[৪] দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ থাকায় বরগুনার আমতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার মোট ৬৭৭৪ জন ইলিশ জেলেরা বেকার হয়ে পড়েছেন। তাই এ সকল জেলে পরিবার মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে মানবিক খাদ্য সহায়তা হিসেবে ১৩৫.৪৮০ মেট্রিকটন বিশেষ ভিজিএফ’র চাল বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
[৫] আগামী ২/১ দিনের মধ্যে ২০ কেজি করে প্রতিটি জেলে পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হবে বলে জানান সংশ্লিষ্ট স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগন।
[৬] এর মধ্যে গুলিশাখালী ইউনিয়নে ১৬৪০, আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নে ৯১৭, কুকুয়া ইউনিয়নে ৬১৮, হলদিয়া ইউনিয়নে ৮২৩, চাওড়া ইউনিয়নে ৬০২, আমতলী সদর ইউনিয়নে ৩৪১, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নে ১৩৪১ ও আমতলী পৌরসভায় ৪৯৫ জন জেলের মাঝে খাদ্য সহায়তার ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করা হবে।
[৭] উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মাহবুবুর রহমান বলেন, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ সময়ে কোন জেলে সাগরে ও নদ-নদীতে মাছ ধরতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
[৮] উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান মুঠোফোনে বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুমে বেকার জেলেদের মাঝে সরকারের পক্ষ থেকে ১৩৫.৪৮০ মেট্রিকটন বিশেষ ভিজিএফ’র চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হবে। আগামী ২/১ দিনের মধ্যে জেলেদের মাঝে এ খাদ্য সহায়তার চাল বিতরণ করা হবে। সম্পাদনা: সাদেক আলী