নুরুল আলম : [২] উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মিরসরাইয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মিরসরাই সদরে দুই পক্ষের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছেন অন্তত ৮জন। এসময় উপজেলা ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের বাড়ীতেও হামলার ঘটনা ঘটে। স্পিন্টারের আঘাতে আহত হয় বেশ কয়েকজন। ঘটনার সময় পুরো মিরসরাই সদরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে বেশ কিছুক্ষনের জন্য মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
[৩] জানা গেছে, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ন কমিটি বিলুপ্ত করে শনিবার (১৭ অক্টোবর) নয় সদস্য বিশিষ্ট আহবায়ক কমিটি গঠন করে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ।
[৪] নতুন কমিটিতে মাসুদ করিম রানাকে আহবায়ক এবং একরামুল হক সোহেল, আজাদ রুবেল, জাফর ইকবাল নাহিদ, আরিফুল ইসলাম, ফাহিুমুল হুদা, মিথুন শর্মাকে যুগ্ন আহবায়ক ও সদস্য রিপাত হোসেন সাদ্দাম, নাজমুল হাসান মুন্না।
[৫] নতুন কমিটির যুগ্ন আহবায়ক জাফর ইকবাল নাহিদ জানান, আহবায়ক কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ মিছিল বের করলে সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেনের সমর্থকরা বিপরীত দিক থেকে উস্কানিমূলক স্লোগান দেয়ায় তাদেরকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি।
[৬] সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাধারন সম্পাদক ফরহাদ হোসেন জানান, কোন প্রকার আলাপ আলোচনা না করেই হঠাৎ করে অছাত্রদের নিয়ে আজকে একটি আহবায়ক কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রলীগ। সম্পূর্ন পূর্বপরিকল্পিত ভাবে তারা আমার বাড়ীতে হামলা চালিয়ে অরাজক অবস্থার সৃষ্টি করেছে। কর্মি সমর্থকদের বেধড়ক মারধর করে জখম ও ধারালো অস্ত্রের মহড়া দিয়ে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে। এসময় আমার বাড়ীর বাড়াটিয়া আলেয়া বেগম, হান্নান, আরিফ সহ অনেকেই স্পিন্টারের আঘাতে আহত হয়। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
[৭] মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, কমিটি গঠনকে কেন্দ্র উপজেলা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছিল। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৩ রাউন্ড টিয়ার শেল ও ২০ রাউন্ড শট গানের গুলি ব্যবহার করেছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী