শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২০, ০৯:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

গোলাম মোর্তোজা: নুরুল হক নূর, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং ছাত্রলীগ

গোলাম মোর্তোজা: একটি মেয়ে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ সত্য-অসত্য যাই হোক, প্রমাণ হবে তদন্তে। তার আগে সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর যে অশোভন ভাষায় অভিযোগকারী সম্পর্কে কথা বলেছেন, তার প্রতিবাদ প্রত্যাশিতই। মেয়েটির অধিকার আছে আইনের আশ্রয় নেওয়ারও। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন যেহেতু কার্যকর আছে, সেহেতু তিনি সেই আইনেই মামলা করেছেন। করতেই পারেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, যারা সমর্থন করছেন তাদের নিয়ে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন একটি কালো আইন এবং এটার প্রয়োগ করে মানুষকে, গণমাধ্যমকে নিপীড়ন করা হচ্ছে। তাহলে সেই আইনের মামলার সমর্থন করছেন কীভাবে? মামলা তো প্রচলিত আইনেই হতে পারতো। এরপর যখন গণমাধ্যম কর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হবে, তখন আপনাদের অবস্থান কী হবে?

আরও একটি গুরুতর প্রশ্ন, অভিযোগকারী মেয়েটি এই অভিযোগ করেনি যে নূরু ধর্ষণ করেছে। পরিষ্কার করে বলেছেন, নূরুর বিরুদ্ধে তার ধর্ষণের অভিযোগ নেই। নূরু তার করা ধর্ষণের অভিযোগের বিচার করেনি, ধমক দিয়েছেন বা হুমকি দিয়েছেন। এসব মেয়েটির অভিযোগ। সঠিক তদন্তে সত্য-অসত্য প্রমাণ করা অসম্ভব নয়।

আরও একটি প্রশ্ন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নূরুকে যারা ‘ধর্ষক‘ হিসেবে উল্লেখ করে প্রপাগান্ডা চালাচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে কোন আইনের প্রয়োগ হবে? প্রতিবাদে সেই বিষয়টি উল্লেখ থাকছে না কেন? নূরুকে ইতোপূর্বে সাত আটবার যে পিটিয়ে রক্তাক্ত করা হলো, তার বিচার কে করবে? নূরু তা ভুলে গেছে এবং আবার পেটানো হবে, সেই হুমকিও দেওয়া হয়েছে। এই হুমকি কী প্রতিবাদযোগ্য বিষয় নয়?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গত দু’এক বছরে একাধিকবার ছাত্রীরা যৌন নিপীড়ন ও মারধরের শিকার হয়েছেন। নূরুর বিরুদ্ধের প্রতিবাদকারীদের তখন খুঁজে পাওয়া যায়নি। নূরুদের ছাত্র অধিকার পরিষদ নতুন সংগঠন। একটি ধর্ষণের অভিযোগে তারা অভিযুক্ত। অবশ্যই সঠিক তদন্ত ও বিচার হতে হবে। অন্য ছাত্র সংগঠনের অবস্থা কী? গত ২০-২২ বছরে বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে? ছাত্রদলের বিরুদ্ধে কোনো ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে? আর ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে কতগুলো ধর্ষণের অভিযোগ এসেছে? সত্য-সঠিক পরিসংখ্যান কী কারও অজানা!
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ‘সেঞ্চুরি মানিক’র ধর্ষণের অভিযোগ, শুধুই অভিযোগ নয়। ‘সেঞ্চুরি মানিক‘ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের তদন্তে প্রমাণিত ধর্ষক। মানিক ধর্ষক নয়, এটা প্রমাণ করতে হলে পুণরায় তদন্ত করে প্রমাণ করতে হবে যে, জাবি প্রশাসনের সেই সময়ের তদন্ত সঠিক ছিল না। তাছাড়া ‘সেঞ্চুরি মানিক‘ ধর্ষক নয়, বলার কোনো সুযোগ নেই।

অন্যায়-অপরাধ-ধর্ষণ-নারী নিপীড়ন, ধর্ষণের প্রতিবাদকারীদের ‘পাড়িয়ে মিশিয়ে ফেলা’র হুমকি-প্রতিবাদ তো সবক্ষেত্রেই প্রত্যাশিত, না কি? নারী নিপীড়নের প্রতিবাদ করতে গিয়ে, যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অভিযোগকারী করেননি, সেই অভিযোগে প্রপাগান্ডা চালানোর নামও নিপীড়ন, প্রতিবাদ নয়। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়