হেলাল মহিউদ্দীন: ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি, এটি শতভাগ ভুল ধারণা। হ্যাঁ, শতভাগ ভুল। মাথায় আসে না জ্ঞানী, গুণী, শিক্ষিতজন কীভাবে একে ‘সামাজিক ব্যাধি’ বলছেন। গুগলে বাংলায় ‘ধর্ষণ একটি সামাজিক ব্যাধি’ লিখে সার্চ দিয়ে দেখলাম অনলাইন, অফলাইন প্রায় সকল পত্রিকায়, অসংখ্য বইতেও সে রকমই লেখা। ২০১৪ সালের ২৬ বা ২৭ জুলাই ‘আমাদের সময়’ পত্রিকা এই সংক্রান্ত আমার একটি দীর্ঘ তথ্যবহুল লেখা ছেপেছিলো। ইংরেজিতে ‘সোস্যাল ডিজিজ’ লিখে সার্চ দিন।
‘বিহ্যভিয়ার্যাল ডিজিজ বা আচরণগত বালাই’ যেমন, গনোরিয়া, সিফিলিস ইত্যাদি শুনে লোকে যাতে রোগীকে ঘৃণা না করে, স্টিগ্ম্যাটাইজ না করে ও না হয়, সেজন্য ইউফেমিজম (ভদ্রস্থ ভঙ্গিতে লেখা) হিসেবে আচরণগত রোগ (বিহ্যাভির্যাল ডিজিজ) না বলে সামাজিক রোগ (সোশ্যাল ডিজিজ) বলা শুরু হয়। হালের ডায়াবেটিস, স্থুলত্ব ইত্যাদিও সামাজিক রোগ। কারণ সমাজ ফাস্ট ফুড, হাইব্রিড ফুড, ভক্ষক সমাজ, হয়ে ওঠেছে। ধর্ষণ কীভাবে সিফিলিস, গণোরিয়ার মতো অথবা ডায়াবেটিস কিংবা স্থুলত্বের মতো রোগ। আমাদের মাথা এতোটা খারাপ কেন। ধর্ষণ একটি ভয়াবহ ‘অপরাধ’। জঘন্য এই অপরাধটিকে ‘সামাজিক ব্যাধি’ বলা বন্ধ করুন। ফেসবুক থেকে