লাইজুল ইসলাম: [২] কোভিড ভ্যাকসিন ট্রায়ালের আবেদন করে চীনের সিনোভ্যাক বায়োটেক লিমিটেড। আইসিডিডিআরবি ট্রায়াল চালাবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু হঠাৎ করে বিষয়টি থেমে যায়। সিনোভ্যাক সরকারের কাছে অর্থায়ন চাওয়ার পরই পুরো বিষয়টি অনিশ্চয়তায় পড়েছে।
[৩] বাংলাদেশ সরকার অনুমোদন দিতে বিলম্ব করায় এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনোভ্যাক। ২২ সেপ্টেম্বর তারা একটি চিঠি দিয়ে জানিয়েছে বাংলাদেশের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ অন্য দেশে খরচ হয়েছে। তাই তারা সরকারের অর্থ সহায়তা চাচ্ছে।
[৪] এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, আমাদের কাছে আবেদনের পর আবার অর্থের দাবি করা বিষয়টি বোঝা যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে সিনোভ্যাক হয়তো বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে না। তাই তারা এখন বিভিন্ন ধরনের অজুহাত দেখাচ্ছে।
[৫] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক গণমাধ্যমকে বলেছেন, সিনোভ্যাককে নিজেদের অর্থেই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করতে হবে। ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি চাওয়ার সময় সিনোভ্যাক নিজেদের খরচে তা করবে বলেছিল। তারা আমাদের এক লাখ ডোজ ফ্রি দেবে। সে কারণেই তাদেরকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
[৬] এই কারণে টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের প্রক্রিয়াটি থেমে গেল কি না জানতে চাইলে জাহিদ মালেক বলেন, এটা নির্ভর করছে সিনোভ্যাকের ওপর।
[৭] স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যমকে বলেছেন, ৩০ কোটি টাকা দাবি করেছে সিনোভ্যাক। এছাড়া আরও দুটি দেশ তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের আবেদন করেছে। ভারত ও রাশিয়া আবেদন করেছে। তাদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে সরকার। এ সংক্রান্ত ফাইন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।