লিহান লিমা: [২] মহামারী নিয়ন্ত্রণে হার্ড ইমিউনিটির প্রত্যাশা না করতে স্পষ্ট বলে দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। হার্ড ইমিউনিটি মূলত তখনই অর্জন করা যায় যখন একটি দেশের ৯৫ ভাগ জনগণকে টিকার আওতায় আনা হয় অথবা কোনো রোগের সংক্রমণ একটি সম্প্রদায়ের প্রায় ৯০ভাগ জনগোষ্ঠির মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসি
[৩]কেউ কেউ বলছেন, টিকার অনুপস্থিতিতে করোনা ভাইরাসকে স্বাভাবিকভাবেই ছড়িয়ে পড়তে দেয়া উচিত। কিন্তু হু প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রেয়েসুস বলেন, ‘জনগণকে ভাইরাস থেকে সুরক্ষার মাধ্যমেই হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করা যাবে, তাদের সংক্রমিত করার মাধ্যমে নয়। জনস্বাস্থ্যের ইতিহাসে এ পর্যন্ত কখোনই হার্ড ইমিউনিটিকে মহামারী ছড়ানোর পন্থা হিসেবে ব্যবহার করা হয় নি। এই ধরণের পন্থা বৈজ্ঞানিক ও নৈতিকভাবে সমস্যাগ্রস্ত।’ পোলিও নিয়ন্ত্রণে ৮০ শতাংশ জনগোষ্ঠিকে টিকার আওতায় আনা হয়েছিলো।
[৪] সোমবার সংবাদ সম্মেলনে হু প্রধান বলেন, করোনার দীর্ঘমাত্রার প্রভাব, ইমিউনিটি সাড়া দেয়ার বিষয়ে এর স্থায়িত্বকাল এবং সক্ষমতা এখনো জানা যায় নি।
[৫] টেড্রোস আরো জানান, সেরোপ্রিভ্যালেন্স পরীক্ষায় (রক্তে অ্যান্টিবডি পরীক্ষা) দেখা গিয়েছে, বেশিরভাগ দেশের মোট জনসংখ্যার ১০ শতাংশ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কোভিড-১৯ ছড়াতে দেয়া মানে অপ্রয়োজনীয় সংক্রমণ ও মৃত্যুকে বাড়তে দেয়া।
[৬] এই সময় তিনি সতর্ক করে বলেন, গত চারদিনে আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিশ্বজুড়ে প্রাত্যহিক সংক্রমণ বেড়েছে। শটকার্ট বা সিলভার বুলেট বলে কোনো কথা নেই। করোনা নিয়ন্ত্রণে সামগ্রিকভাবে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
[৭] মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭০ লাখ মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনার টিকার উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও হালনাগাদ চলছে। এর মধ্যে ১০টি টিকা চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় রয়েছে। তবে কোনো টিকাই এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিকভাবে অনুমোদন পায় নি।