তপু সরকার: [২] শেরপুরে শ্যালিকাকে ধর্ষণ ও ধর্ষণের চিত্র ভিডিও ধারণের অভিযোগে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে দুলাভাই মুন্না খান (২৮) প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
[৩] সোমবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। অভিযুক্ত মুন্না সদর উপজেলার সাপমারী গ্রামের আব্দুস সামাদ খানের ছেলে।
[৪] বিকেলে তাকে ৫ দিনের পুলিশ রিমান্ডে আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হলে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহসিনা হোসেন তুষি বুধবার রিমা- শুনানীর তারিখ ধার্য করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। একই দিন জেলা সদর হাসপাতালে ভুক্তভোগীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
[৫] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধর্ষক মুন্না খানের শ্বশুরবাড়ি ফরিদপুর। গত ৭ অক্টোবর তার স্ত্রীর সিজারে বাচ্চা হয়। বোনের দেখাশোনার জন্য মুন্না তার বিবাহিত শ্যালিকাকে সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের সাপমারী গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন। দু’দিন থাকার পর শ্যালিকা ফরিদপুরে চলে যেতে চাইলে মুন্না তাকে ঢাকা পর্যন্ত ছেড়ে দেবেন বলে রোববার সকালে গাড়িতে করে শেরপুর শহরের রাজবল্লভপুরের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে সে সকাল থেকে কয়েক দফায় তাকে ধর্ষণ করে এবং কয়েকজনের সহযোগীতায় ধর্ষণের ভিডিওচিত্র ধারণ করে। ওই সময় মুন্না ঘটনা কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেয়।
[৬] এ অবস্থায় নিরুপায় হয়ে রোববার রাতে শ্যালিকা ৯৯৯ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ রাজবল্লভপুরের বাসা থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার ও ধর্ষক মুন্নাকে আটক করে। পরে ওই ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে ভগ্নিপতি ও তার ৩ সহযোগীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং পর্ণোগ্রাফী আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন।
[৭] শেরপুর সদর থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, ওই ঘটনায় ভিকটিমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সদর থানায় ধর্ষণ ও পর্ণোগ্রাফী আইনের পৃথক দু’টি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। ধর্ষক ভগ্নিপতিকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সহযোগী অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান চলছে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :