পলাশবাড়ী প্রতিনিধি: [২] গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার একটি পৌরসভাসহ ৮টি ইউনিয়নে চাষীদের ধান ক্ষেতে কীটনাশক ছাড়াই ক্ষতিকর পোকা দমন ও ধ্বংস করার জন্য পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার। দিন-দিন পার্চিং ব্যবহারের সাফল্য পাওয়ায় আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের মাঝে।
[৩] গত বছর অধিকাংশ চাষী ধান ক্ষেতে ক্ষতিকর পোকা দমনের জন্য ক্ষেতে ডেড পার্চিং ও জীবন্ত পার্চিং ব্যবহার করে আশানুরূপ সাফল্য পেয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১৩ হাজার ৫’শ ৭০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। এ বছর উপজেলার কৃষকরা ৮ হাজার ১’শ ৪২ হেক্টর জমিতে ডেড পার্চিং ও জীবন্ত পার্চিং পদ্ধতির কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। আমন ধানের জমিতে সার দেয়ার পর থেকেই ক্ষেতে খাসফড়িং, পাতা মোড়ানো পোকা, চুঙ্গি-মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন পোকার আক্রমন দেখা দিয়ে থাকে।
[৪] এসব পোকার আক্রমন থেকে ফসল বাঁচাতে কৃষকরা নানান ধরনের পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। তন্মধ্যে কীটনাশক ছাড়াই পোকা দমনে সহজ ও পরিবেশ বান্ধব পার্চিং পদ্ধতির ব্যবহার এখন অন্যতম হয়ে উঠেছে। এর পাশাপাশি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ এরই মধ্যে জমিতে ডেড পার্চিং ও জীবন্ত পার্চিং পদ্ধতির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ কার্যক্রম সফলের লক্ষে উপজেলার প্রত্যেক ইউনিয়নে নিয়োজিত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের মাঝে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
[৫] এতে পরিবেশ বাঁচিয়ে কৃষকরা স্থানীয় পদ্ধতিতে স্বল্প খরচে পোকা, পোকার ডিম বিনষ্ট করছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপজেলা কৃষি অফিসার আজিজুল ইসলাম জানান, পার্চিং পদ্ধতি এমন একটি পদ্ধতি যা পরিবেশের কোন ক্ষতি করে না। কৃষকদের কোন অতিরিক্ত টাকা পয়সাও ব্যয় করতে হয় না। প্রতিবিঘা জমিতে মাত্র ৮/১০টি বাঁশঝাড়ের কঞ্চি বা বিভিন্ন গাছের ডালপালা অথবা বাঁশের বাতি দিয়ে পাখি বসার মতো জায়গা করে দিলে পাখিরা আমন ধান ক্ষেতের ক্ষতিকর পোকামাকড় খুব সহজেই খেয়ে ফেলে।
[৬] ফলে পোকার আক্রমন থেকে ক্ষেত রক্ষা পায়। ক্ষতিকর পোকামাকড় দমনের জন্য পরিবেশ বান্ধব পার্চিং পদ্ধতি খুবই কার্যকর। এই পদ্ধতির ব্যবহার করে কৃষকরা আমন ধানের ক্ষেত উৎপাদন বৃদ্ধি করে ইতিবাচক সাফল্য অর্জন করবে বলে কৃষি বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানান। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :