ইসমাঈল ইমু : [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শীতে করোনার প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। আর তা বাড়লে প্রচুর অর্থের দরকার হবে। তাই অর্থ সাশ্রয়ে বাজেটের অর্থ ব্যয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্বোচ্চ মিতব্যয়ী হতে হবে। আমাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। ঠিক যেটুকু এখন আমাদের নেহাত প্রয়োজন, তার বেশি কোনো পয়সা খরচ করা চলবে না।
[৩] তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংকটময় সময়েও মানুষের কল্যাণে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এবার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট দিয়েছি। যেটি দেয়া খুবই কঠিন ছিল। তবু আমরা দিয়েছি, তার পরও বলেছি যে, অর্থ খরচের ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে।
[৪] প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, করোনা বাড়লে মানুষকে আবার আমাদের সহযোগিতা করতে হবে, চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে, ওষুধ কিনতে হবে, হয়তো আরও ডাক্তার-নার্স লাগবে। করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী একটা খাদ্য মন্দা দেখা দিচ্ছে। অনেক উন্নত দেশও হিমশিম খাচ্ছে। বাংলাদেশে আমরা সঠিক সময়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছিলাম বলেই আজকে সেই সমস্যাটা আমাদের দেখা দিচ্ছে না।
[৫] তিনি বলেন, খাদ্য সংকট দূর করতে সরকার বদ্ধপরিকর। যেভাবে হোক মানুষের কাছে অর্থ পৌঁছাতে হবে, আর্থিক সচ্ছলতা দিতে হবে এবং অর্থনীতি সচল রাখতে হবে। আমার একটাই লক্ষ্য যেন কোনো মানুষ কষ্টে না থাকে। আর কৃষিতে আমার নির্দেশই ছিল আমাদের প্রচুর পরিমাণে খাদ্য উৎপাদন করতে হবে। যে যেখানে আছে যার যার সামর্থ্য আছে সব উৎপাদন অব্যাহত রাখতে হবে। কোনোমতে খাদ্য সংকট যেন দেখা না দেয়।
[৬] শেখ হাসিনা আরো বলেন, করোনা চিকিৎসার জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ২ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দিয়েছি। ৬ হাজার নার্স নিয়োগ দিয়েছি এবং টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়েছি। এত দ্রুত সময় এতসংখ্যক লোক নিয়োগ দেয়া একটা কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু আমরা এটি করেছি, যেন তাদের ট্রেনিং দিয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে পারে। সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি।
[৭] রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সাভার সেনানিবাসে অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনীর ১০টি ইউনিট ও সংস্থাকে জাতীয় পতাকা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। সম্পাদনা: বাশার নূরু