আব্দুল হক, আমিরাত প্রতিনিধি: [২] রিজার্ভ বৃদ্ধিতে বড় ভূমিকা প্রবাসী আয়ের।যেখানে প্রবাসীরা লাখ লাখ টাকা রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা রাখছেন। সেখানে সরকার তাদের জন্য কি করছেন? এটা অনেক প্রবাসীদের প্রশ্ন।
[৩] কিন্তু মাদার অব হিউম্যানিটিস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার প্রবাসীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন।যেমন প্রবাসী ব্যাংক, প্রবাসীদের দেশে Invest করার সুযোগ, CIP হওয়ার ব্যবস্থা, রেমিটেন্স ফী কমানো, প্রতি লাখে ২০০০ টাকা প্ররোদনা ইত্যাদি।
[৪] কোভিড-১৯ এর মহামারীতেও রেমিটেন্স বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি আশার কথা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কথায় ধরি। আরব আমিরাতের প্রায় (অনুমানিক) ১০ লাখে উপরে বাংলাদেশী আছে। কেউ ব্যবসা করে, কেউ চাকরিতে নিযুক্ত।
[৫] এদের ব্যাপারে আমিরাতের জনতা ব্যাংক বিরাট ভূমিকা পালন করতে পারে। আমিরাতে জনতা ব্যাংকের ৪টি শাখা রয়েছে। যথা- আবুধাবী, আল আইন, দুবাই ও শারজাহ। ১০ লাখ বাংলাদেশীদের মধ্যে জনতা ব্যাংকের ৪টি শাখায় বাংলাদেশী একাউন্ট আছে মাত্র ১৬ হাজার (অনুমান)। বাকী প্রবাসী বাংলাদেশীদের একাউন্ট কোথায়? সবার না থাকলেও বেশির ভাগ বাংলাদেশীদের একাউন্ট বিভিন্ন ব্যাংকে। এদেরকের জনতা ব্যাংক মুখী করতে হবে। মাননীয় অর্থমন্ত্রী আমিরাতে এসে তদন্ত করে একটা উপায় বের করতে পারেন। জনতা ব্যাংকের ৪টি শাখার কর্মকর্তা এবং এখানের বাংলাদেশেী কমিউনিটিকে নিয়ে বসতে পারেন। যদি ১০ লাখের মধ্যে তিন ভাগের এক ভাগও ব্যাংকে আসেন তাহলে, শাখা আরো কয়েকটি খুলতে হবে এবং রেমিটেন্স অনেক অনেক বৃদ্ধি পাবে। ফলে দেশের অর্থনীতি মজবুত হবে।আরব আমিরাতের বাংলাদেশীরা অনেকে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠান। ব্যাংকের কর্মচারীরাও সহযোগিতা করেন।
[৬] এখানের জনতা ব্যাংকে অনুরোধ করব যেন বাংলাদেশেী ব্যবসায়ী বিশেষ করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরোজমিনে তদন্ত করে কিছু কিছু ঋণের ব্যবস্থা করা। এমনভাবে ঋণ দিতে হবে যাতে ঋণ খেলাপী না হয়। তাছারা চাকুরীজীবিদের ব্যাপারে ব্যাংক চিন্তা করতে পারেন। তবে তাদের থেকে অবশ্যই guarantee নিতে হবে যাতে ঋণ খেলাপী না হয়। অবশ্য জনতা ব্যাংকে এই কার্যক্রম চালু আছে। তবে আরো বৃদ্ধি করার জন্য সবিনয় অনুরোধ করা হয়েছে। ফলে ব্যাংকের advance বৃদ্ধি পাবে এবং বাংলাদেশীরাও আরও উপকৃত হবে। Advance, Deposits এবং রেমিটেন্স ব্যাংকের জন্য অতি প্রয়োজন। তবে এটাও ঠিক অনেকেই ঋণ নিয়ে ফেরত না দিয়ে ব্যাংককে বেকায়দায় ফেলেছেন।
যার ফলে ব্যাংককে আইনী লড়াই চালাতে হচ্ছে।
[৭] যেহেতু ব্যাংককে এখানে ব্যবসা করতে হবে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করে ব্যাংককে এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে রেমিটেন্স যোদ্ধাদের আরো কি কি সাহায্য সহযোগিতা করা যায় তা বিবেচনা করা প্রয়োজন। পরিশেষে, সরকারের আরো নতুন নতুন প্রদেক্ষেপ কামনা করে আমার বক্তব্য শেষ করছি।
সাবেক ব্যাংকার, সভাপতি বঙ্গমাতা পরিষদ আরব আমিরাত কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্পাদনা: হ্যাপি