কামাল শিশির: [২] গত ৮ অক্টোবর ঈদগাওঁ হিমছড়ী ঢালায় সিএনজি যোগে ঈদগাওঁ থেকে নিজ বাড়ী ঈদগড়ে আসার পথে মুখোশধারী ডাকাত দলের হাতে কেন জনি খুন হল তা নিয়ে পুরো কক্সবাজার জেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।
[৩] কলেজ পড়ুয়া জনির জানা মতে তথা অনেকের মতে তার শত্রু নেই বললেই চলে। আর কেনই বা তার শত্রু থাকবে। কেননা সে অমায়িক, ভদ্র, নম্র ও সহজ শরল ছিল। সবার সাথে ভালো আচরণ করত সব সময়। গানের জগতেও ছিল তার অতি জন প্রিয়তা। সবার অন্তরে ছিলো শিল্পি জনির নাম। চলার পথে সব সময় সবাইকে আঙ্কেল বলে ডাকতেন তাও বিনিয়ের সুরে। কখনো মুখে হাসি ছাড়া অন্য কিছু দেখা যেত না। গানের জগতেও সর্বদা দর্শকের মন জয় করাই ছিল তার বড় পাওনা।
[৪] এমন গম্ভীর ছেলেটাকে কেন ডাকাতরা নির্মমভাবে হত্যা করল তা নিয়ে অনেকে নানা মন্তব্য করতে দেখা গেল।
[৫] ঈদগড় বাজার ব্যবসায়ী জানে আলম জানান, নিহত জনি যখন ডাকাতের কবলে পড়েছিল তখনই হয়তো সে ডাকাতদেরকে আঙ্কেল বলে সম্বোধন করছিল ডাকাতরা হয়ত তাদেরকে ছিনতে পেরেছে মনে করে তাকে এ ভাবে হত্যা করে।
[৬] ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, ডাককাতরা হয়তো তাকে অপহরণ করার চেষ্টা চালালে সে বাধা দেওয়াতে হয়তো তাকে এভাবে হত্যা করে।
[৭] হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেকেই জানান, তার জন প্রিয়তায় ইর্শান্বীত হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। তার হত্যার বিচারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা সবাই বলেন তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।
[৮] তার মা শান্তি বালাও জানান,তার ছেলের হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত। তিনি ছেলে হত্যাকাণ্ডের বিচার চান ।
[৯] বর্তমানে জনির হত্যাকাণ্ড নিয়ে চলছে নানা কানাঘুষা। কেন এই হত্যাকাণ্ড? কি দুষ করেছিল জনি? ডাকাতরা গাড়িতে অন্য যাত্রী থাকার পরও শুধু জনিকে কেন আঘাতসহ হত্যা করল এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সবার মনে। সম্পাদনা: হ্যাপি