শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ০৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৪৯ সকাল
আপডেট : ০৯ অক্টোবর, ২০২০, ০৫:৪৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

লাদাখে চীনা অনুপ্রবেশের সব তথ্য সরিয়ে নিল ভারত

ডেস্ক রিপোর্ট: লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (এলএসি) পেরিয়ে চীনা বাহিনীর অনুপ্রবেশের নথি ফের ওয়েবসাইট থেকে সরিয়ে নিয়েছে ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। লাদাখ পরিস্থিতি কি আরও জটিল হয়েছে? ভারতে বহু বিশেষজ্ঞই নতুন করে এই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন।

কিছুদিন আগেই লাদাখের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তীব্র বিতর্ক হয়েছিল। এবার ২০১৭ সাল থেকে চলতি বছরের জুন মাস পর্যন্ত প্রকাশিত সব মাসিক প্রতিবেদনেও সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছে, সাময়িক সময়ের জন্যই সব নথি তুলে নেয়া হয়েছে। নথিগুলোকে পরিবর্ধন করে ফের সাইটে আপলোড করা হবে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, চীনের সেনারা অবস্থান পরিবর্তন করে ভারতের দিকে এগিয়েছে। তবে রাজনাথ একই সঙ্গে বলেছেন, চীনের সেনা এলএসি পার করেনি। তার এমন মন্তব্য ঘিরেই বিতর্ক শুরু হয়েছে।

কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সম্প্রতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটের একটি নথি চিহ্নিত করে প্রশ্ন করেছিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কি মিথ্যা বলছেন?’

২০১৭ সাল থেকে ২০২০ সালের আগস্ট পর্যন্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যে নথি ওয়েবসাইটে দিয়েছিল, তা থেকেই পরিষ্কার, চীনের সেনারা ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী বলছেন, এলএসি পার করে চীনের সেনা ঢুকতে পারেনি।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যেও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। ফলে বিতর্ক এড়াতেই সব নথি সরিয়ে নেয়া হয়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

ভারতীয় সেনার এক উচ্চ পদস্থ অফিসার জানিয়েছে, লাদাখ সমস্যার সমাধান হচ্ছে না মূলত দুইটি কারণে। দুই দেশই নিজেদের পূর্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্ট দখল করেছে। দুই দেশের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ধারণা ভিন্ন। ভারত যা নিজের এলাকা বলে মনে করে, চীন তা করে না। ফলে সমাধানসূত্র তৈরি হচ্ছে না।

সূত্র: ডয়চে ভেলে, বিডি-প্রতিদিন

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়