রাশিদুল ইসলাম : [২] মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও ডেমোক্রেট ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হারিসের মাঝখানে দূরত্ব ছিল প্রায় ১২ ফুট। মাঝে প্লেক্সিগ্লাসের দেয়াল। কোভিড সতর্কতা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে কমলা হ্যারিস বলেছেন, মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে মার্কিন সরকার উদাসীন। পেন্স তা নাকচ করে বলছেন ট্রাম্প প্রশাসন কাজ করেছে। কমলা জবাব দেন ট্রাম্প প্রশাসন কাজ করার পর কোভিডে ২ লাখ ১০ হাজার মার্কিন নাগরিকের মৃত্যু কখনোই মেনে নেয়া যায় না। সিএনএন
[৩] বৃহস্পতিবার বিতর্কের শুরুতেই কমলা হ্যারিস বলেন কোভিড রুখতে ব্যর্থ হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সংক্রমণ বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র ট্রাম্প প্রশাসনের সবচেয়ে বড় অক্ষমতা দেখেছে। মাইক পেন্স বলেন, অতিমহামারী ঠেকাতে উপযুক্ত ব্যবস্থাই নিয়েছে মার্কিন সরকার। এ বছরের মধ্যেই এক কোটিরও বেশি ভ্যাকসিনের ডোজ আনার পরিকল্পনা রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের।
[৪] কমলা হ্যারিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ তুলে বলেন কোভিড থেকে সেরে ওঠার আগেই ট্রাম্পের হাসপাতাল থেকে ফিরে আসার সমালোচনা করেন। মাস্ক না পরে বেপরোয়া মনোভাবের কথাও উঠে এসে তার মন্তব্যে। কমলা বলেন ট্রাম্পের কোনও কথাই শুনব না, যদি বলে ভ্যাকসিন নিতে নেব না। যদি ড. অ্যান্থনি ফাউচি বা অন্যান্য ডাক্তার বলেন, ভ্যাকসিন সুরক্ষিত এবং নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে তাহলে অবশ্যই সে কথা শুনব। মহামারীর সঙ্কট দেখেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট কতটা উদাসীন ও দায়িত্বজ্ঞানহীন, সে প্রমাণ যুক্তরাষ্ট্র পেয়ে গিয়েছে। উনি যা বলবেন, তা মানা হবে না।
[৫] কমলা বলেন মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের। শুধুমাত্র প্রচার চালানোর জন্য করোনা সারানোর আগেই হাসপাতাল থেকে ফিরে এসে তিনি সে প্রমাণ দিয়েছেন। বারে বারেই তার খামখেয়ালী ও বেপরোয়া মনোভাব মানুষজনের সামনে চলে এসেছে। কোভিড ভ্যাকসিন নিয়েও তাড়াহুড়ো করেছেন ট্রাম্প।
[৬] কমলা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে কোভিড সংক্রমণে মৃত্যুহার সবচেয়ে বেশি। আক্রান্তের সংখ্যাও বিশ্বে সর্বাধিক। এর কারণ মার্কিন প্রেসিডেন্টের উদাসীনতা। শুরু থেকেই সঠিক প্রোটোকল মেনে চলেননি তিনি। বাকিদেরও মানতে দেননি। তাই সংক্রমণ লাগামছাড়া হয়ে গেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের ব্যর্থতার জন্যই দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা সঙ্কটাপন্ন হয়ে পড়েছে। এখনও সুরক্ষার কথা না ভেবে চটজলদি ভ্যাকসিন নিয়ে আসার চেষ্টা করছেন তিনি।
[৭] বিতর্কের সময় মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে তার স্বভাবজাত দৃঢ়তা ও গম্ভীর দেখা গেলেও ডেমোক্রেট প্রার্থী কমলা ছিলেন হাসিখুশি এবং তির্যক প্রশ্নবাণে প্রতিপক্ষকে জর্জরিত করে তোলেন। কমলা বক্তব্য রাখার পেন্স বক্তব্য দিতে চাইলে তাকে থামিয়ে দিয়ে কৃষ্ণাঙ্গ নারী সিনেটর বলেন ‘মি. ভাইসপ্রেসিডেন্ট আই এ্যাম স্পিকিং’।
আপনার মতামত লিখুন :