বিশ্বজিৎ দত্ত: [২] এটি বন্ধ থাকায় এ বছর করদাতার ৩০০০ টাকা বেশি দিতে হবে।
[৩] রিটার্ন জমার লিংক আবার চালু হওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। ভিয়েতনামের এফপিটি ইনফরমেশন সিস্টেম করপোরেশন নামের একটি সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান এটি তৈরি করেছিল। গত তিন বছর সচলও ছিল। ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় এনবিআরের অনলাইনে রিটার্ন জমার এ সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। প্রকল্পটিতে ব্যয় হয়েছিল ৫১ কোটি টাকা। আর গত ৩ বছরে অনলাইনে রিটার্ন জমা পড়েছে সব মিলিয়ে ৭২২০টি । এই হিসাবে অনলাইনে রিটার্ন প্রকল্পে করদাতা প্রতি খরচ হয়েছে ৭১ হাজার টাকা। ৭ হাজার রিটার্নে এনবিআর আয়কর পেয়েছে প্রায় ১০ কোটি টাকা।
[৪] চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে প্রথমবার অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে ২ হাজার টাকা করছাড় প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে সেই সুযোগ নিতে পারছেন না করদাতারা।
[৫] এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনবিআর সদস্য হাফিজ আহমেদ মুর্শেদ বলেন, এই সফটওয্যার ব্যবহারের বিষয়ে এনবিআরের কর্মকর্তাদের কোন অভিজ্ঞতা নেই। তাই ভিয়েতনামের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন করে চুক্তি করার চিন্তাভাবনা চলছে। [৬] সাবেক সদস্য আমিনুর রহমান বলেন, এনবিআরের ৫৫ শতাংশ কর অনলাইনেই উৎসে সংগ্রহ হয়। ব্যাক্তি শ্রেণীর করদাতাদের কিছু রিটার্ন অনলাইনে দাখিলের জন্য সফটওয়্যারটি হয়েছিল। এখন এটি বন্ধ থাকায় ব্যক্তি শ্রেণীর করদাতারা এ বছর ৩ হাজার টাকা বেশি কর দিবেন।
আপনার মতামত লিখুন :