মোঃ মামুন: [২] ভোলার দৌলতখানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রুমা (২৪) নামের এক গৃহবধূকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে স্বামী সেলিমসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে। আহত রুমা বর্তমানে দৌলতখান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
[৩] মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বিকালে উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের বেড়ীবাধ এলাকার বাড়িতে এঘটনা ঘটে। রুমা পৌরসভা ৩ নং ওয়ার্ডের নুরে আলম মাঝির মেয়ে।
[৪] হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রুমা সাংবাদিকদের জানান, একমাস আগে ভাসুরের স্ত্রী (জা) জান্নাতের সঙ্গে টুপি বুনার সুতা নিয়ে তার বাকবিতণ্ডা হয়। তখন স্বামী সেলিম ও ভাসুর হারুন বাসায় ছিলোনা। তারা সাগরে ইলিশ শিকার করতে যায়। সাগর থেকে ইলিশ শিকার করে মঙ্গলবার বাড়িতে ফিরে তারা। এরপর জান্নাত পূর্বের বাকবিতণ্ডার বিষয়টি হারুনরকে জানাতে গেলে আমিও তাকে জানাই। এরইমধ্যে কোন কিছু বুঝে উঠার আগে স্বামী সেলিন, ভাসুর হারুন ও (জা) জান্নাত লাটি দিয়ে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে দৌলতখান হাসপাতালে এনে ভর্তী করান।
[৫] অন্যদিকে অভিযুক্ত সেলিম জানান, সাগরে ইলিশ শিকার করে মাত্র দুই হাজার টাকা উপার্জন করি। মঙ্গলবার বাড়িতে এসে ওই টাকা শার্টের পকেটে রেখে বাজারে যাই। বাজার থেকে এসে দেখি দুই হাজার টাকার বদলে মাত্র এক হাজার টাকা আছে। এবিষয় আমার স্ত্রী রুমার কাছে জানতে চাইলে সেবলে টাকা খরচ করে পেলেছে। এনিয়ে আমাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমি রুমাকে চর-থাপ্পড় মারি। তবে রুমাকে আমার বড় ভাই হারুন ও তার স্ত্রী জান্নাত কোনো মারধর করেনি।
[৬] দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বজলার রহমান জানান, রুমার পিতা নুরে আলম বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি