মঈন উদ্দীন: [২] কক্সবাজারের আলোচিত সাবেক মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চান না জেলাটির তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেন। কয়েকদিন আগে রাজশাহীতে যোগদান করার পর বুধবার (৭ অষ্টোবর) সকালে জেলা পুলিশ লাইনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
[৩] সেখানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বলেন, এটি একচুয়ালি কক্সবাজারের ঘটনা। নট এটা রাজশাহীর ঘটনা। আর এ বিষয়ে একটা মামলা তদন্তাধীন আছে। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।
[৪] তিনি বলেন, আমাদের যে কোন কাজ হবে পেশাদারিত্ব, দেশপ্রেম এবং অবশ্যই দক্ষতার সাথে। আমরা রাজশাহীর আট থানার আইনশৃঙ্খলার উন্নয়নে সাংবাদিকদের সহায়তা চাই। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদকমুক্ত এবং সন্ত্রাসমুক্ত রাজশাহী গড়তে চাই।
[৫] সন্ত্রাসী যেই হোক না কেন তার পরিচয় সন্ত্রাসী। কোন দল, কোন মত আমরা তা চিনি না। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। আর মাদকের ব্যাপারে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি আছে। সেটার পরিবর্তন হয়নি। আমরাও মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করব।
[৬] এসপি বলেন, রাজশাহীর একটা সমস্যা আছে। এতদিন দূর থেকে জেনে এসেছি যে, এখানে একসময় জঙ্গিবাদের উত্থান ঘটেছিল। সেটা যদিও এখন নিয়ন্ত্রণে আছে, তবে এদেরকে বিশ্বাস করা যায় না। এরা যে কোন সময় আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে।
[৭] এখানে যে সর্বহারা নামে যে একটা গ্রুপ ছিল তাদেরও প্রভাব অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। যে কোন সন্ত্রাসী ঘটনার ক্ষেত্রে আমরা দলমত নির্বিশেষে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে একদম কঠোর।
[৮] মতবিনিময়কালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহমুদুল হাসান, মুহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী, সুমন দে, ইফতেখায়ের আলমসহ রাজশাহীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সম্পাদনা: সাদেক আলী