লিহান লিমা: [২] জার্মানির নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডসহ ৩৯টি দেশ বিভিন্ন প্রশাসনিক অঞ্চলে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং নিন্দা জানিয়েছে। দেশগুলোর যৌথ বিবৃতি প্রকাশের পর তাৎক্ষণিক ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে বেইজিং। আল জাজিরা
[৩]বিবৃতিতে জার্মানি শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের কনসানট্রেশন ক্যাম্পে বন্দি রেখে নির্যাতনের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সেখানে আন্তর্জাতিক তদন্ত দলকে প্রবেশের জরুরি অনুমতি দিতে বলেছে। জাতিসংঘে জার্মানির রাষ্ট্রদূত ক্রিস্টোফি হিইসেন মানবাধিকার কাউন্সিলের এক বৈঠকে বলেন, ‘আমরা হংকংয়ের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তিব্বতের দমন-পীড়ন ও শিনজিয়াংয়ের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।’
[৪]চীন বলছে, তারা শিনজিয়ায়ে কারিগরি শিক্ষার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র গড়ে তুলেছে। কিন্তু মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন এই আটককেন্দ্রে তরুণদের বন্দি রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে নারীদের গর্ভপাত করানো হচ্ছে। ক্যাম্পগুলোর বিরুদ্ধে ধর্মী স্বাধীনতার ওপর কড়াকড়ি আরোপ, দমন-পীড়ন, জোরপূর্বক শ্রম করানো ও বন্ধাত্বকরণ কর্মসূচীর অভিযোগ এসেছে।
[৫]জাতিসংঘে চীনের স্থায়ী প্রতিনিধি ঝাং জুন সব অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ মন্তব্য করে বলেছেন, ‘সদস্য দেশগুলো চীনের বিরুদ্ধে ভুয়া তথ্য এবং রাজনৈতিক ভাইরাস ছড়াচ্ছে এবং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে।’
[৬]এদিকে চীনের পক্ষে ৪৫টি দেশের সমর্থন নিয়ে পাল্টা বিবৃতিতে কিউবা বলেছে, শিনজিয়াংয়ে চীন নীতির সমালোচনা করা বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ। পাকিস্তানের নেতৃত্বে আরেক বিবৃতিতে কয়েকটি দেশ হংকং ইস্যুতে চীনকে সমর্থন করেছে।