ভূঁইয়া আশিক : [২] টাকার অভাব হলে চাঁদা তুলে সরকারের বিলাসিতার উপকরণ যোগাবো। [৩] এই ইতিহাসবিদ আরও বলেন, প্রথম আলোতে সম্প্রতি একটি খবর দেখে শিউরে উঠলাম। মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র রাখার জায়গা হচ্ছে না, সরকার ব্যবসায়ী হয়ে অস্ত্রগুলো দেশের বাইরে বিক্রি করে দিতে চাচ্ছে।
[৪] মনে হচ্ছে সরকার খুব অর্থকষ্টে আছে। অর্থকষ্ট মেটানোর নানাবিধ পথ আছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে যে অস্ত্র ব্যবহৃত হয়েছে, তা সবসময় আমাদের হৃদয়ের অংশই হয়ে থাকে। সরকার যদি মনে করে, অস্ত্রগুলো রাখার জায়গা তাদের নেই, তাহলে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরকে এই ২৭-২৮ হাজার অস্ত্র দিয়ে দিতে পারে।
[৫] মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রির চেষ্টার মধ্যদিয়ে সরকার ইতিহাস অসচেতনতার পরিচয় দিলো। [৬] মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রির চেষ্টা কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত।
[৬] মুক্তিযুদ্ধের পর থেকে ইতিহাসের চিহ্ন মুছে ফেলা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর আত্মসর্ম্পন এবং ইন্দিরা গান্ধীর জন্য ‘ইন্দিরা মঞ্চ’ সবই ছিলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের যে জায়গায়, তা মুছে ফেলার জন্য জিয়াউর রহমান শিশু পার্ক তৈরি করেছিলেন।
[৭] শাহবাগে বাংলাদেশ বেতার বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিজড়িত। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের অনেক স্মৃতি বেতার ভবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। এটি দেওয়া হলো বিএসএমএমইউকে। বেতার ভবন জাদুঘর হিসেবে সংরক্ষণ করা উচিত ছিলো। [৮] মুক্তিযুদ্ধের কাছে আওয়ামী লীগের ঋণ, আওয়ামী লীগের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ঋণ। মুক্তিযুদ্ধ ও আওয়ামী লীগ অঙ্গাঅঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে। দায়টা আওয়ামী লীগ সরকারেরই বেশি।