রাশিদুল ইসলাম : [২] অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল সাইন্স এজেন্সি সিএসআইআরও’র জরিপ বলছে প্রতিবছর সমুদ্রের তলদেশের আনাচে কানাচে বিশাল পরিমান মাইক্রোপ্লাস্টিক জমছে যা দূষণ বৃদ্ধি ছাড়াও সৈকতে জঞ্জাল সৃষ্টি করছে এবং প্রাণিদের জীবন বিপন্ন করে তুলছে। প্লাস্টিকের দূষণ অ্যান্টার্কটিকা এমনকি মহাসাগরের গভীরতম অঞ্চলেও পাওয়া গেছে। সিএনএন
[৩] সমুদ্রের তলদেশে এধরনের প্লাস্টিকের স্তর সম্পর্কে মানুষের ধারণা খুব কমই, সমীক্ষা বলছে ভাসমান বা ভূপৃষ্ঠের উপরিভাগে ছড়িয়ে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ে ৩৫ গুণ বেশি রয়েছে সাগরের নিচে।
[৪] সমীক্ষা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে জার্নাল ফ্রন্টিয়ার্সে যেখানে বলা হচ্ছে সমুদ্রের তলদেশে জমা পড়া প্লাস্টিকের টুকরোগুলো ৫ মিলিমিটারের চেয়ে ছোট। রোবট সাবমেরিন ব্যবহার করে গবেষক দল দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার উপকূলে ৩৮০ কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত ৩ হাজার মিটার গভীর সমুদে ৫১টি নমুনা পলি সংগ্রহ করে এসব প্লাস্টিকের টুকরো পায়।
[৫] প্রতি গ্রাম পলিতে ১.২৬ মাইক্রোপ্লাস্টিক পাওয়া গেছে। যা ২০১৭ সালের এপ্রিলের জরিপে পাওয়া প্লাস্টিকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। সিএসআইআরও’এর জাস্টিন ব্যারেট বলেন গভীর সমুদ্র প্লাস্টিক দূষণ থেকে রক্ষা পাচ্ছে না। বিজ্ঞানীরা বলছেন এটি পরিবেশের জন্যে বিরাট এক চ্যালেঞ্জ। জনস্বাস্থ্যের জন্যেও।
[৬] বর্তমানে যে হারে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে প্রচেষ্টা চলছে তা অব্যাহত থাকলেও ২০৪০ সালে ৭১০ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক এ দূষণে যোগ হবে।
[৭] ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে দেড়’শ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক সমুদ্রে ভাসছে। প্রতিবছর যোগ হচ্ছে আরো ৮ মিলিয়ন টন। অধিকাংশ প্লাস্টিক সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে সৈকত থেকে।