শওগাত আলী সাগর: নোয়াখালীতেই তো এর আগে আরো একটি বীভৎস নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছিলো। সম্ভবত নির্বাচনের পর পর। ‘সম্ভবত’- বলছি, কারণ ঘটনাটা পরিষ্কার মনে নেই। আরো অনেকেরই হয়তো মনে নেই। কারণ আমরা এসব দ্রুত ভুলে যাই, ভুলে যেতে চাই। এখন আবার নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে আরেক বীভৎস নারী নির্যাতন নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে। আচ্ছা, নোয়াখালীর সেই নারী নির্যাতনের ঘটনাটার কি শাস্তি হয়েছিলো? বেগমগঞ্জের নারী নির্যাতনের বীভৎসতার মাত্রা যেকোনো বিবেচনায়ই ভয়াবহ। কিন্তু এই ভয়াবহ ঘটনায় খুব বেশি প্রতিক্রিয়া হয়েছে বলে মনে হচ্ছে না।
ফেসবুকে অল্পকিছু মানুষকেই এটা নিয়ে কথা বলতে দেখলাম। সাধারনত ধর্ষনের বিরুদ্ধে মানুষকে যেভাবে ফুঁসে উঠতে দেখি, সিলেটের ঘটনায় যেভাবে সবাই ফুঁসে উঠেছিলো- ঠিক সেইরকম প্রতিক্রিয়া চোখে পড়েনি। আমি তার কারণটা বোঝার চেষ্টা করছিলাম। বেগমগঞ্জের নিপীড়িত নারীটি কি অশিক্ষিত শ্রমিকশ্রেণির কেউ? আমরা কোন নির্যাতনের প্রতিবাদ করবো, কোনো নির্যাতিতার পাশে দাঁড়াবো- সেটি কি নির্যাতিতার শ্রেণির উপর নির্ভর করে? তার সামাজিক অবস্থানের উপর নির্ভর করে? বেগমগঞ্জের নির্যাতকদের কোনো রাজনৈতিক পরিচয় এখনো সামনে আসেনি। সেটাও কি কারণ। নির্যাতকের রাজনৈতিক পরিচয়, রাজনীতি সংশ্লিষ্টতা দেখে কি আমরা প্রতিবাদ করা না করার সিদ্ধান্ত নেই? অপরাধ, অপরাধীর চেয়েও ঘটনার সাথে রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা থাকা না থাকা, অপরাধীদের রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নিয়ে আমরা ঠিক করি, কোন ঘটনার প্রতিবাদ করবো, কোন ঘটনার প্রতিবাদ করবো না। বাহ! কী চমৎকার আমাদের প্রতিবাদী চেতনা। ফেসবুক থেকে