বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক জরিপে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ব্যয় বিষয়ে এ তথ্য দেয়া হয়েছে।
[৩] দক্ষিণ এশিয়া স্টাডিজের নির্বাহি পরিচালক সঞ্চিতা ব্যানার্জি বলেন, মার্চে কোভিড ১৯ শুরু হওয়ার থেকে গত কয়েক মাসে গার্মেন্ট শ্রমিকদের ৭৭ শতাংশ আর্থিক টানপোড়েনে ৩ বেলা খাবার খেতে পারছে না। ৬৯ শতাংশ মাছ, মাংস ও ডিম তাদের খাবার তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ৬০ শতাংশ অন্যান্য ব্যয় কমিয়েছেন শুধুমাত্র খাদ্য খরচের জন্য।
[৪] একই রিপোর্টে বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হকের বরাত দিয়ে বলা হয়, কোভিডের কারণে বায়াররা তাদের অর্ডার বাতিল করেছে। অনেকে স্থগীত করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এই অবস্থায় গার্মেন্ট কারখানাগুলো পুরো মাত্রায় চালু হতে সময় লাগবে। সুতরাং শ্রমিকদের অবস্থাও টানপোড়েনের ভিতর দিয়েই যাবে।
[৫] জুলাই পর্যন্ত গার্মেন্টের ২৬১১০ জন শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছেন। ১৪১৩২ জন শ্রমিক কারখানা লে অফের কারণে বেকার হয়েছেন। এর বাইরে ১৫৫০০০ হাজার শ্রমিক যেকোন সময় কর্মচ্যুত হতে পারেন বলে আশংকা করা হচ্ছে।
[৬] বিকেএমইএর সহসভাপতি মোহম্মদ হাতেম বলেন, গার্মেন্ট অর্ডার ৫০ ভাগ কমে গেছে। সেপ্টেম্বরে কোন গার্মেন্ট বিদেশি অর্ডার পায়নি।এই মাসে রপ্তানিমুখী ২৭টি কারখানা একোবরে বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারি প্যাকেজে মালিকরা সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শ্রমিকদের বেতন দিতে পেরেছে। কিন্তু এরপরে এটি দেওয়াও অসম্ভব হয়ে যাবে। এখনো ৪০ শতাংশ গার্মেন্ট এক ইউনিট ২ইউনিট চালু রেখে কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :